
পরকীয়ার ঘটনায় মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায় ভাই ও স্ত্রীর হাতে খুন হলেন বিদেশ ফেরত উজ্জল মিয়া (৩০)। দেশে ফিরে আসার ৯ দিনের মাথায় এমন ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রির্ফিংয়ে পুলিশ সুপার মো: বশির আহাম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রেস ব্রিফিংএ পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. বশির আহাম্মেদ বলেন, “এঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ ঘটনা অনুসন্ধান করে নিহতের স্ত্রী কাঞ্চন (মনিরা) ও ছোট ভাই মো. ঝন্টু মিয়া এবং হত্যায় সহযোগী মাসুদকে (২২) গ্রেফতার করে। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার জরিত থাকার কথা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “প্রাবসী উজ্জল বিদেশ থাকার সময় তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তার স্ত্রী পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরমাঝে উজ্জল দেশে ফিরে আসে। দেশে আসার ৯দিনের মাথায় গত মাসের ১২ অক্টোবর তারিখ রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুধের মধ্যে ঘুমের ওষধ খাইয়ে উজ্জলকে অচেতন করে ফেলে তার স্ত্রী। পরে হাত-পা বাধে। এরপর দেবর ঝন্টুকে ডেকে আনে। ঝন্টু তার বন্ধু মাসুদকে ফোন করে বাড়িতে আসতে বলে। এরপর গলায় গামছা পেচিয়ে তারা উজ্জলের মৃত্যৃ নিশ্চিত করে এবং লাশ গুম করার জন্য বাঁশের সঙ্গে বেঁধে বাড়ি থেকে একটু দুরে ধলেশ্বরী নদীর পারে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো ছুরি দিয়ে লাশের বুক চিড়ে ভাড়ি কিছুর সঙ্গে বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। যাতে করে লাশ ভেঁসে উঠতে না পারে। “
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত উজ্জল মিয়ার বাড়ি সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশ গ্রামে। তিনি মো. রোকমান মোল্লার ছেলে। ঘটনার ১৮ দিন পর পুলিশ অর্ধগলিত অবস্থায় ধলেশ্বরী নদী থেকে এ প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা মো: রোকমান মোল্লা সিংগাইর থানায় মামলা করলে ঘটনা অনুসন্ধান করে স্ত্রী মোছা: কাঞ্চন (মনিরা), ছোট ভাই মো: ঝন্টু মিয়া এবং হত্যায় সহযোগী মাসুদকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামিরা।