
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া মার্কিন আইনসভার উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ উভয় ক্ষেত্রেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে ট্রাম্পের দল।
এমন পরিস্থিতিতে পরাজয় স্বীকার করে নির্বাচনের ফল মেনে নিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। পাশাপাশি সমর্থকদের মন খারাপ না করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গণমাধ্যমকে কমালা বলেন, ভোটে পরাজয় মেনে নিচ্ছি, কিন্তু লড়াইয়ে হার মানছি না। একইসঙ্গে তিনি ট্রাম্পকে ক্ষমতা হস্তান্তরে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
নির্বাচনে পরাজয়ের পর স্থানীয় সময় বুধবার প্রথম জনসমক্ষে আসেন কমলা হ্যারিস। সেখানে ট্রাম্পকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কমলা বলেন, “আমি জানি অনেকের মনে হচ্ছে আমরা হয়তো একটি অন্ধকার সময়ে প্রবেশ করছি, কিন্তু আমাদের সকলের ভালোর জন্য আমি আশা করি তেমনটি হবে না।”
এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভক্ত-সমর্থকদের মনোবল না হারানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন ক্ষোভ বা হতাশা প্রকাশের সময় নয়, এখন আমাদের যথাযথ কাজ ও লড়াই করার সময়”। তিনি বলেন, এখনই সময় “স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগঠিত হওয়ার, সংগঠিত করার এবং সেটিতে নিযুক্ত থাকার এবং ভবিষ্যত যেন আমরা একসাথে গড়ে তুলতে পারি”।
তরুণ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কমালা হ্যারিস বলেন, এটা ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের দেশের জন্য লড়াই সবসময়ই মূল্যবান। তিনি বলেন, দুঃখিত এবং হতাশ হওয়া ঠিক আছে, কিন্তু দয়া করে জেনে রাখুন- এটা ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, “কখনও কখনও লড়াই কিছুটা সময় নেয় – এর অর্থ এই নয় যে আমরা জিতব না। হাল ছেড়ে দিও না। আপনার সেই ক্ষমতা আছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দল “শান্ত উপায়ে” লড়াই করবে।
কমালা হ্যারিস বলেন যে তার কাজ পটভূমিতে চলতে থাকবে, কারণ তার দল “শান্ত উপায়ে” লড়াই করতে দেখায়। নিজের ভোটের প্রচারাভিযানের একটি স্লোগানের কথা উল্লেখ করে হ্যারিস বলেন, তারা “কঠিন কাজ” চালিয়ে যাবেন, কারণ “কঠিন কাজই ভালো কাজ”।

স্বাধীনতাকে “সমুন্নত রাখতে হবে” বলেও মন্তব্য করেছেন হ্যারিস। তিনি বলেছেন, আমেরিকা আমরা কখনোই গণতন্ত্রের জন্য, আইনের শাসনের জন্য, সাম্য ও ন্যায়বিচারের জন্য এবং অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই ছেড়ে দেব না। এগুলোকে সম্মান করতে হবে ও সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা ভোটকেন্দ্রে, আদালতে এবং পাবলিক স্কোয়ারে এই লড়াই চালিয়ে যাব।
পাশাপাশি নারীর স্বাধীনতার জন্য লড়াই করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হ্যারিস। তিনি বলেছেন, তিনি যে ইস্যুতে (নারীর স্বাধীনতা) এতোদিন প্রচারণা চালিয়েছেন তার জন্য তার লড়াই বন্ধ হবে না।