
বায়ু দূষণের উৎস নিয়ন্ত্রণ, বায়ু মান মনিটরিং ব্যবস্থা উন্নত করা এবং আইন প্রয়োগের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে সরকার জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে এই কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ু দূষণের উৎস নিয়ন্ত্রণ, বায়ু মান মনিটরিং ব্যবস্থা উন্নত করা এবং আইন প্রয়োগের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে সরকার জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এটি কঠোর নিয়ম বাস্তবায়ন এবং শিল্প, পরিবহন ও নগরায়ণে পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির প্রসারে একটি পথনকশা হিসেবে কাজ করবে।
এই কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশের টেকসই পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনের বৃহত্তর কৌশলের একটি অংশ, যা গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলের উদ্বেগজনক দূষণ হ্রাসে সহায়ক হবে বলেও মনে করেন এই উপদেষ্টা। পরিচ্ছন্ন বায়ুর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান মিজ রিজওয়ানা। সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
আলোচনায় জাতীয় নীতিতে বায়ু মান ব্যবস্থাপনা সংযোজন, উন্নত পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি গ্রহণ এবং দূষণের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়ার অটোমেশন করার লক্ষ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এ ট্রান্সফরমেশন অব দ্য এনভায়রনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রসেস শীর্ষক নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, এই নতুন সফটওয়্যার প্রবর্তনের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র প্রক্রিয়ার স্মার্ট পরিবর্তন আনছে। এতে ছাড়পত্র/নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।