
বাংলাদেশীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন দল-জেএমএম নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
মোদি অভিযোগ করে বলেছেন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডি— তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য এদেরকে গোটা রাজ্যে বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে এই তিন দল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি এখানে এমন হয়ে গেছে যে সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যায় বিপদ কতটা বড়। যখন উৎসবে পাথর ছোঁড়া হয়, দুর্গা মাকেও আটকে দেয়া হয়, যখন কারফিউ জারি করা হয়, তখন জানা যায় যে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর। মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে প্রতারণা হচ্ছে। তখন বুঝতে হবে জল মাথার ওপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যখন অনুপ্রবেশের মামলা আদালতে যায়, প্রশাসন তা অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গেছে।
এদিকে গত রোববার ঝাড়খণ্ডে ভোটের প্রচারে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনো বন্ধ হয়নি। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনই অনুপ্রবেশে মদত দেয়। ঝাড়খণ্ডেও একই কারণে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন এখানেও অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি নভেম্বর মাসেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরকদমে কাজ করছে বিজেপি। ওই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। মূলত এই নির্বাচনকে সামনে রেখেই বিজেপির প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ‘অনুপ্রবেশ সমস্যা।