
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে পরিবর্তন আসছে। এর মধ্যে কিছু কূটনীতিকের মিশন পরিবর্তন হচ্ছে। এর সাথে কিছু কূটনীতিককে ঢাকায় ফেরানো হচ্ছে। এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কিছু কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্ব দিয়ে বিভিন্ন মিশনে পাঠানো হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মাধ্যমে জানা গেছে, বর্তমানে ডেনমার্কের বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) এবং হেড অব চ্যান্সারি মুহাম্মদ সাকিব সাদাকাতকে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন করাচির ডেপুটি হাইকমিশনার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভারতের বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন চেন্নাইয়ের উপ-হাইকমিশনার শেলী সালেহীন দায়িত্ব পাচ্ছেন বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন বার্মিংহামে (যুক্তরাজ্য)। বার্মিংহামের সহকারী হাইকমিশনার মো. আলীমুজ্জামান যাবেন চেন্নাইয়ে উপ-হাইকমিশনার হিসেবে।
এছাড়া, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মুহাম্মদ মিজানুর রহমানকে ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল করা হচ্ছে।
এদিকে, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন কলকাতায় বর্তমানে মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) এবং হেড অব চ্যান্সারি সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমানকে সদর দপ্তর ঢাকায় ফেরানো হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কাটের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) এবং হেড অব চ্যান্সারি মৌসুমী রহমানকেও ঢাকায় ফেরানো হচ্ছে।
বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের পরিচালক সামিয়া ইসরাত রনি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ অনুবিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্-আল-মামুনকে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে কাউন্সেলর করে পাঠাচ্ছে সরকার।
প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক কূটনীতিক জানান, সরকারের পালাবদলের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পোস্টিং পলিসি অনুযায়ী মিশনগুলোতে রদবদলের চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের যেসব দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত নেই, সেসব দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি সহকারী হাইকমিশনার পর্যায়ে কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া, অধীনস্ত কিছু পদেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।