
ভ্রমণে বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ায় শুক্রবার (০১ নভেম্বর) থেকে আবারও পর্যটকরা রাঙামাটি ভ্রমণ করতে শুরু করেছেন।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই এদিন রাঙামাটিতে ভিড় জমাতে শুরু করেন পর্যটকেরা। এভাবে পর্যটক আসতে থাকলে আগের লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার থেকে জেলার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে আশানুরূপ পর্যটক ভ্রমণ করতে শুরু করেছেন।

এদিন সকাল থেকেই রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল। দলে দলে পর্যটকদের ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনে হাঁটা-চলার পাশাপাশি অনেকেই কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার করেছেন। রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মোহিত পর্যটকরা জানান, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। এদিকে পর্যটক আসতে শুরু করায় খুশি ব্যবসায়ীরাও।

পর্যটক সুধির দাশ বর্মন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে রাঙামাটিতে আবারো পর্যটকরা বেড়াতে আসতে পারবেন। এটি আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। আমরা ৪০ জনের একটি গ্রুপ বাস নিয়ে এসেছি। রাঙামাটির রূপ দেখে আমরা সত্যিই মুগ্ধ। সবারই বেড়াতে আসা উচিত।

পর্যটন নৌযান ঘাটের ম্যানেজার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, মাসখানেক পর্যটক আগমন বন্ধ থাকায় আমরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আজ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় ট্যুরিস্ট বোট মালিক-শ্রমিকরা সবাই খুশি। আশা করছি এই মৌসুমে একটা ভালো ব্যবসা হবে এবং আমরা আমাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
এদিকে পর্যটক বরণে প্রস্তুত আছে শহরের হোটেল-মোটেলগুলো। হোটেল স্কয়ার পার্কের ব্যবস্থাপক আবুল হাসান রায়হান বলেন, নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কাটিয়ে আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় আছি।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙামাটিতে পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ ছিল। এতে ৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।