
প্রতিটি হত্যার তদন্ত ও বিচার করতে হবে বলে অভিমত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক। হাইকমিশনার বলেন, মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিটি অপরাধের তদন্ত করতে হবে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তবে, মানবাধিকার ইস্যুতে আগের বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমানের অনেক পার্থক্য বলে মত দেন টুর্ক। তিনি বলেন, গত দুই মাসে বাংলাদেশ অনেক ইস্যুতে কাজ করছে। আমরা কাছ থেকে পরিবর্তনগুলো দেখার চেষ্টা করছি। এই সময়ে ছাত্র-জনতার ভূমিকা প্রশংসনীয়।
আন্দোলনে পুলিশ মারার ঘটনায় দায়মুক্তির বিষয়ে টুর্ক বলেন, কোনো হত্যার দায়মুক্তি দেয়া উচিত নয়। প্রতিটি হত্যার তদন্ত ও বিচার করতে হবে। না হলে মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
ঢালাওভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে টুর্ক বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাড়া কোনও মামলা করা যায় না। এটি সুরাহা করা অত্যন্ত জরুরি। এই বিষয়ে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগে যা করা হতো সেটির পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।

ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, সন্ত্রাস আইন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এর ফলাফল কী হতে পারে, সেটি আমরা দেখেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা ভিন্নমত পোষণকারী বা রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, তাদের সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অফিস খোলার বিষয়ে জাতিসংঘের আগ্রহ বেশি থাকে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ভলকার টুর্ক বলেন, আমরা সারাবিশ্বেই মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করছি। ইউরোপে, যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অফিস রয়েছে। আমরা অনেক দেশেই অফিস খুলতে চাই, কিন্তু এর সাথে আর্থিক বিষয়টিও তো জড়িত।
আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের ওপর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত হয়নি, এ অভিযোগ করে টুর্ক বলেন, কমিশন গঠন করে হামলায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি জানান, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।