
পলাতক প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী হিসেবে রাষ্ট্রপতিও অবৈধ বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলটির নেতারা বলছেন, অবৈধ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের গোপনীয়তা ও শপথ ভঙ্গের বিষয়টি যেহেতু স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে এবং সরকারও তা মনে করে। সেজন্য কালবিলম্ব না করে রাষ্ট্রপতির অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির একটি যৌথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সোমবার (২৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় নেতারা।
রাজধানীর বিজয় নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুর ১টায় এ দ্বিপাক্ষিক মতবিনিময় সভা শুরু হয়। সভায় রাষ্ট্রপতি ও সাংবিধানিক সংকট বিষয়ক চলমান যে বিতর্ক তা নিয়ে উভয় পক্ষ তাদের মতামত তুলে ধরেন।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির আব্দুল্লাহ, মুখপাত্র সামান্থা শারমিন, সদস্য আরিফুল ইসলাম আদিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও হান্নান মাসউদ।
আলোচনায় এবি পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল ও ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স।
এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল জানান, এবি পার্টি মনে করে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের এক কঠিন ক্রান্তিকালে গঠিত হয়েছে। পরিস্থিতিগত কারণে সে সময়ে সরকার গঠনকালীন প্রক্রিয়া, সরকারের প্রকৃতি ও চরিত্র নিয়ে বিশদ ভাবার সুযোগ ছিল না। ফলে ডকট্রিন অব নেসিসিটি, গণঅভ্যুত্থানের তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়া এ তিনটি যৌথভাবে অনুসরণ করতে গিয়ে এক ধরনের জটিল সমীকরণ দাঁড়ায়। অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও পলায়নের পর অবৈধ রাষ্ট্রপতির অধীনেই নতুন সরকারকে শপথ গ্রহণ করতে হয়। এক ধরনের নৈতিক বৈপরীত্য সত্ত্বেও সকল রাজনৈতিক দল ও বিপ্লবী ছাত্র-জনতা তা মেনে নেন এবং সম্মতি জানান।