যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারব কখন নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। খুব বেশি সময় বিলম্ব হলে আবার ওই ফ্যাসিস্টরা নব্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে। রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়ামে জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিগত ১৫-১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে কেউ ঘুম-খুন হয়েছে, কেউ হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এসব অপকর্ম যারা করেছে তারা সবাই গ্রেপ্তার হয়নি। রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি। এজন্য সরকারের কাছে দাবি খুনিদের অনতিবিলম্বে বিচার করতে হবে। খুনিদের বিচার না করলে সমাজ আঘাতপ্রাপ্ত হবে এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের আলেম ওলামাদেরকেও ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের ওপর চরম জুলুম করেছে শেখ হাসিনা। জালিমের অবসান হয়েছে। এখন সময় এসেছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সংবিধানের অজুহাত দিয়ে কোনো সংস্কারকাজ যেন আটকে না থাকে। পৃথিবীর কোনো বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি, হয় না। বাংলাদেশেও জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি।
শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র পালায়নি। সে বিদেশে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মুহা. আবদুর রব হাসেমীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন, মাদারীপুর জেলার সাবেক আমীর আব্দুস সোবহান, শরীয়তপুর জেলার সাবেক আমীর মাওলানা খলিলুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিভাগীয় প্রধান আজাহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য কেএম মকবুল হোসাইন। সম্মেলনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য মজিবুর রহমান খান, জামায়ত নেতা হেদায়েত উল্যাহসহ আরও অনেকে বক্তৃব্য রাখেন। এ সময় সংগঠনের বিভিন্ন উপজেলার সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করা হয়।