মঙ্গলবার, ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টি ঝরতে...

আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, 'আমি গভীর তাগিদ...

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানি বংশোদ্ভূত অভিনেত্রীর উদ্বেগ

ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে...

দেশে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ২১২ জন হাজি

হজপালন শেষে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত...

দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন : রুহুল কবির রিজভী

ছবি : সংগৃহিত

শেখ হাসিনাকে ভয়ংকর ডেঙ্গু আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভয়ংকর ডেঙ্গু বিদায় নিয়েছে। আরেক ডেঙ্গু হাজির হয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার জুরাইনে বিক্রমপুর প্লাজার সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, এই এলাকায় (জুরাইন) অনেক জলাবদ্ধতা রয়েছে। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য জনসেবা ছিল না, তার উদ্দেশ্য ছিল জনগণের টাকা মার আর বিদেশে পাচার কর। ম্যান পাওয়ার সিন্ডিকেট করে আওয়ামী সিন্ডিকেটবাজরা হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। শেখ হাসিনা কিংবা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের কারাগারে পাঠানো হতো।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, প্রতিরাতে কারওয়ান বাজারে ৫০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়, সেখানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে স্বাভাবিক। আপনারা কী করেন? এতদিনেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না। জনগণ তো বলবেই, শেখ হাসিনার সময়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়ত এখনো বাড়ছে। তফাৎটা কী? ঢাকা শহরের মধ্যে যাত্রাবাড়ী-জুরাইন এলাকায় সবচাইতে বেশি ডেঙ্গু।

রিজভী বলেন, দেশের প্রতিটি কারাগার ছিল শেখ হাসিনার আয়নাঘর। তার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, গণতন্ত্রের পক্ষে যারা কথা বলবে তাদের সে ঘরে বন্দি করে রাখা হতো। শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, এ দেশের জনগণ যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছে তাদের উপর জুলুম-নির্যাতন চলেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে বিদায় করে একটু মুক্ত হয়েছে। একটু শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের কালো টাকার মালিকরা এখনো আমাদের সমাজের আনাচে-কানাচে আছে, গভীরে ছড়িয়ে আছে। তারা নাশকতা করে যাচ্ছে, করবে। আমরা আগে বলেছিলাম তারা নাশকতা করবে। কারণ সরকারি সংস্থায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের লোক রয়েছে, তারা এসব করবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পল্লী বিদ্যুৎবোর্ড করেছেন স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আওয়ামী লীগ এটাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। তারা ৫০টি পল্লী বিদ্যুৎকেন্দ্র শাটডাউন করল তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে। তা হলে হাসিনার আমলে কেন করল না? আপনাদের ন্যায্য দাবি থাকতে পারে কিন্তু শাটডাউন করলেন কেন? কার স্বার্থে করলেন? হাসিনাকে প্রত্যাবর্তন করাতে চান? আবার বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক লুট করার ব্যবস্থা করতে চান?

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে রিজভী আরও বলেন, আপনারা যদি হাসিনার দোসরদের মেইন মেইন জায়গায় বসান, তা হলে নাশকতা তো হবেই। ঘুরেফিরে দেখছি দুটো শক্তিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বসাচ্ছে। একটা স্বাধীনতা বিক্রি করার শক্তি আর একটা স্বাধীনতার বিরুদ্ধের শক্তি। এদের বসানোর কারণেই যারা স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে।

তিনি বলেন, গড়িমশি না করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। নির্বাচন হলে নির্বাচিত সরকারের জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা ১৬ বছর যুদ্ধ করেছি। আমাদের কথা হলো যেই ক্ষমতা আসুক জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

পাইরেসির বিরুদ্ধে শাকিবের দৃঢ় অবস্থান

এবারের ঈদে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক...

পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টি ঝরতে...

আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, 'আমি গভীর তাগিদ...

মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)...