অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন মুখ যুক্ত হতে যাচ্ছে। নতুন তিনজন উপদেষ্টার শপথগ্রহণসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রদবদল হতে পারে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া প্রায় ৫টি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারে ইতোমধ্যে ২০ জন উপদেষ্টা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল করা হয়েছে। তবে সরকারের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে উপদেষ্টা পরিষদে নতুন সদস্য যুক্ত করা ও কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব রদবদলের আলোচনা চলছে।
ইতোমধ্যে উপদেষ্টা পদে একাধিক ব্যক্তিকে যাচাই করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। আগামী সপ্তাহে শপথের জন্য তাদের ডাক পড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
সম্ভাব্য উপদেষ্টার আলোচনায় রয়েছেন- এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ড. মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য একজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
এরমধ্যে, এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ১৯৭৯ সালে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট পদে ঢাকা জেলায় যোগদান করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব, পাটকল সংস্থার চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসা চেয়ারম্যান, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রপতির সচিবসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তিনি ২০০১ সালে ফেনীর জেলা প্রশাসক হন এবং ২০০৬ সালে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সর্বশেষ রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসরে যান। চাকরি শেষে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে এবি পার্টির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
তালিকায় নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় আছেন কূটনীতিক ও শিক্ষাবিদ ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। তিনি ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে পররাষ্ট্র এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র গেলে সেখানে তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন ড. ইফতেখার।
এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন ড. মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি একজন অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে আর্থিক নিরাপত্তা, কৌশলগত ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, বিশ্ব অর্থনীতির বিশ্লেষণ ও শিল্পে ভূ-রাজনীতির প্রভাব, বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেন।
অন্যদিকে মো. জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী একজন শিল্পপতি। তিনি চৌধুরী গ্রুপের চেয়ারম্যান; বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবির) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, নতুন করে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এই মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে যিনি উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন তিনি মূলত ব্যাংকিং পেশার একজন দক্ষ মানুষ।