
কুষ্টিয়ায় একটি তিনতলা বাড়ি থেকে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল।
মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার আইলচারা বাজার সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এই ভবনটি অপরাধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। তারা বাড়িটিকে একটি টর্চার সেল বা নির্যাতনকেন্দ্রে রূপান্তর করেছিল। যেখানে চাঁদাবাজি ও অপহরণের জন্য ধরে আনা ব্যক্তিদের উপর নির্যাতন চালানো হতো। অপহৃতদের পরিবার থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ।
আটককৃত সন্ত্রাসীরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান খান মানিক, বড় আইলচারা এলাকার মৃত মোজাম ডাক্তারের ছেলে রনি, মিরপুর থানার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার বাসিন্দা সজীব, একই ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের রাব্বি ও একই গ্রামের শাকিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মানিকের নেতৃত্বে এই চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভয় ও ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাস ছিল তাদের নিত্যকার কাজ।
যৌথ অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং অনেকে বাইরে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অপহরণ সংক্রান্ত ধারায় একাধিক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।