গাজা উপত্যকার একটি মসজিদ ও একটি স্কুলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলার নিক্ষিপ্ত গোলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৯৩ জন। রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরের দিকে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার মিডিয়া অফিস।
মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, ইসরায়েলি বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি মসজিদ ও একটি স্কুল, যেখানে বাস্তুচ্যুত মানুষরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। আল-আকসা হাসপাতালের নিকটবর্তী দেইর আল-বালাহ এলাকার ওই মসজিদ এবং ইবনে রুশদ স্কুলে এ হামলা চালানো হয়। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, মসজিদে হামলায় নিহত হয়েছেন ২১ জন, বাকি ৩ জন নিহত হয়েছেন স্কুলে হামলার ঘটনায়। সেই সঙ্গে উভয় ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯৩ জন।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের সবাইকে গাজার আল-আকসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসাল।
রোববার (৬ অক্টোবর) পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এএফপিকে জানিয়েছে, হামাস ‘সন্ত্রাসীদের ওপর সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ওই মসজিদ ও স্কুলটিকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছিল বলে দাবি করেছে আইডিএফ।
আইডিএফ আরও জানায়, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে গাজায় দেইর আল বালাহর সেই মসজিদ এবং স্কুলটিতে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ছদ্মবেশে হামাসের সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। তাদের অভিযানের প্রধান ও একমাত্র লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসীরা।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর এক বছরপূর্তির একদিন আগে চালানো হলো এই হামলা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের ১ হাজার যোদ্ধা।
হামলার পর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে আসে হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে এখনো শতাধিক জিম্মি হামাসের কব্জায় রয়েছেন।
এদিকে জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০ হাজার।
সূত্র : এএফপি