
বরগুনার পাথরঘাটায় অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দকে কেন্দ্র করে কোস্ট গার্ডের স্থাপনা ও যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযান চলাকালে কোস্ট গার্ডের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীরা তাদের অবরুদ্ধের চেষ্টা করে।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গত১৭ জুন কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা ইউনিট একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ২টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করা হয় এবং ২০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ২৪ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা অবৈধ ট্রলিং বোট ব্যবহার করে মাছ ধরছিলেন। পরে উদ্ধার করা মাছ গরিব ও অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, এই অভিযানের পর গভীর রাতে আনুমানিক ৩০০ জন দুষ্কৃতিকারী কোস্টগার্ডের স্থাপনায় হামলা চালায়। তারা কোস্ট গার্ড সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা করে, একই সঙ্গে ১টি পিকআপ এবং ১টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এছাড়াও, টহলের জন্য ব্যবহৃত একটি কাঠের বোট নদীতে ডুবিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানান, আটককৃত জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ট্রলিংয়ের মাধ্যমে মাছের পোনা ধ্বংস করে আসছিলেন, যা সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদকে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন করছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল প্রদান করে আসছে। ভবিষ্যতেও মাছের সম্পদ রক্ষায় এরূপ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, এভাবে চলতে থাকলে না শুধু বরগুনায় নয় বরং গোটা দেশের সামুদ্রিক সম্পদ হুমকির মুখে পড়বে, যা দেশের অর্থনীতির জন্যও বিপজ্জনক।