মঙ্গলবার, ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টি ঝরতে...

আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, 'আমি গভীর তাগিদ...

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানি বংশোদ্ভূত অভিনেত্রীর উদ্বেগ

ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে...

দেশে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ২১২ জন হাজি

হজপালন শেষে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত...

অধিভুক্তি থেকে ‘মুক্তি’ চাচ্ছেন ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

‘অধিভুক্তি’ থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা দাবি তুলেছেন, সাতটি কলেজ নিয়ে আলাদাভাবে ‘স্বতন্ত্র’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। এরই মধ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজের কাছে সাত কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের অভিপ্রায় জানিয়ে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন তারা।

মূলত, প্রচলিত শিক্ষার মানোন্নয়ন, সময়োপযোগী শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়নসহ বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজ সাতটি হচ্ছে — ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ। এর আগে এসব প্রতিষ্ঠানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির সার্বিক কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হতো। এই দায়িত্ব পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে। তবে এই সাত কলেজের অধিভুক্তি তেমন কোনো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কিংবা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হয়নি। অনেকটা অপ্রস্তুত ও তড়িঘড়ি করেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ফলে অধিভুক্তির পর থেকেই প্রশাসনিক ও একাডেমিক বিভিন্ন সমস্যা একের পর এক সামনে আসতে থাকে। এর মধ্যে সুনির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার না থাকা, সিলেবাস নিয়ে ধোঁয়াশা, তীব্র সেশনজট, ফল (রেজাল্ট) প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা, ত্রুটিযুক্ত ফল, রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়া উল্লেখযোগ্য। ফলশ্রুতিতে শুরুর কয়েকটি বছর বিভিন্ন বিষয়ে দাবি আদায় করতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় রাজপথে আন্দোলনের সংগ্রাম করেই কাটিয়েছেন।

তবে সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, অধিভুক্তির সাত বছর পার হলেও শিক্ষার গুণগত মানের তেমন পরিবর্তন হয়নি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেমন পরীক্ষা গ্রহণ আর ফল প্রকাশের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও সেই একই পথে হেঁটেছে। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একচেটিয়া এবং একক সিদ্ধান্তে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই এ মুহূর্তেই ঢাবির অধিভুক্তি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র এবং স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতেই মুক্তি দেখছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত কলেজে প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যা সামনে এসেছে তা সমাধানে প্রশাসনের তৎপরতার অভাব আরও সংকট বাড়িয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে সেই সমস্যা জিইয়ে রেখে কালক্ষেপণ করার ফলে আরও নতুন সমস্যা যুক্ত হয়েছে। ফলে এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনে ফেলেছে বিরূপ প্রভাব।

এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রমে বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত সেশনজটের সম্মুখীন হচ্ছেন। সেমিস্টার পদ্ধতি না হওয়া এবং পরীক্ষাগুলো যথা সময়ে অনুষ্ঠিত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ করতে বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। যা তাদের ক্যারিয়ার এবং উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আবার ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা শিক্ষার্থীদের হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব। সাত কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় পর্যাপ্ত একাডেমিক সুবিধার অভাব রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের সংকট, পর্যাপ্ত গবেষণাগারের অভাব এবং লাইব্রেরি সুবিধা সীমিত পরিসরে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান বাড়ানোও দুরূহ হয়ে পড়েছ। একই সঙ্গে সহজ প্রশাসনিক কাজগুলোকে করা হয়েছে জটিল। পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ, ফল প্রকাশ এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রশাসনের অদক্ষতা শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ বাড়িয়েছে বহুগুণ।

মূলত, সাত কলেজের প্রশাসনিক অভিভাবক কে সেটিও অনেকের কাছেই অজানা। সেজন্য কোন বিষয়ে অভিযোগ বা মতামত জানাতে শিক্ষার্থীরা কার কাছে যাবেন সেটিও খুঁজে পাওয়া যায় না।

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাবি কর্তৃপক্ষ সাত কলেজ থেকে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা আয় করছে। কিন্তু সাত কলেজের উন্নয়নে তারা কোন ব্যয় করে না।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সাত কলেজকে ঢাবির ব্যবসা কেন্দ্র বানানো হয়েছে। ভর্তি, ফরম পূরণে বিভিন্ন ফি নেওয়া হচ্ছে অথচ সাত কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন বরাবরই বেশ পিছিয়ে আছে।

তথ্যসূত্র : ঢাকা পোস্ট

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

পাইরেসির বিরুদ্ধে শাকিবের দৃঢ় অবস্থান

এবারের ঈদে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক...

পাঁচ বিভাগে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

দেশের সব বিভাগে আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টি ঝরতে...

আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, 'আমি গভীর তাগিদ...

মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)...