
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারত ভিসা দেবে কিনা সেটি তাদের বিষয়। তবে ভিসার জন্য কোনো শূন্যতা থাকে না, মানুষ অন্য কোনো দেশে সমাধান খুঁজে নেয়।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের ভিসা বন্ধ রয়েছে, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্যোগ আছে কিনা? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভিসা দেওয়াটা তাদের বিষয়। আমরাও সাময়িকভাবে সেই দেশে ভিসা বন্ধ করেছিলাম। তবে কোনো দেশের ভিসা বন্ধ হলে শূন্যতা থাকে না। মানুষ অন্য দেশে সমাধান খুঁজে নেয়।
ইতালির ভিসা পেতে বাংলাদেশিরা বিক্ষোভ করছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ইতালির ভিসা নিয়ে দেশটির সঙ্গে অব্যাহতভাবে আলোচনা করছি। তবে ভিসা পেতে যেসব ডকুমেন্ট দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ইতালির ভিসার জন্য অনেক অবৈধ কাগজপত্র দেওয়া হয়। তারা (ইতালি) দেখছে, আসলেই সেই কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা। অনেক লোকজনের কাগজপত্র জেনুইন আছে, তারাও এখন এই অবস্থায় ভিসার জন্য ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, চীন ও বিমস্টেক সফর – দুটো সফর প্রত্যাশা অনুযায়ী সফল হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ভারতের সরকার প্রধানের সাথেও সফল বৈঠক হয়েছে, তবে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন কিছুকে সমর্থন করেনা দুই দেশ।
এছাড়াও তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারত চীন দুদেশকেই বাংলাদেশ বিবেচনা করবে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সাথে আলোচনা হয়েছে কিন্তু চুড়ান্ত কোনো কথা হয়নি, বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিলো তাকে ফেরত এনে বিচারের সম্মুখীন করা।
ইতালির ভিসা জটিলতা নিরসনে সরকার কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা তৌহিদ এ ক্ষেত্রে মিথ্যা কাগজপত্র কিংবা দূর্নীতি না করার পরামর্শ দেন। ভিসা জটিলতা কাটাতে ইতালিকে চাপে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও জানান, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এ মাসের শেষ দিকেই বাংলাদেশ সফর করবেন। এছাড়াও চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রেরও দুজন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।