
আট মাসে বিচারিক সংস্কার অভূতপূর্ব গতি অর্জন করেছে। বিচারিক সংস্কার শুধু বিভিন্ন খাতভিত্তিক সংস্কারে স্থায়ীত্বের মূল চাবিকাঠি নয়, বরং এই বিচারিক সংস্কার নিজেই ‘সংস্কার’ শব্দের প্রতীক হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর নগরীর গ্রান্ডপ্যালেস মিলনায়তনে ইউএনডিপি আয়োজিত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যদক্ষতা বৃদ্ধিতে আঞ্চলিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ বহুবছর ধরে অভ্যন্তরীণ সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের একমাত্র অঙ্গ হিসেবে বিচার বিভাগ নিজেদের সংস্কার কর্মসূচি নিজেরাই নির্ধারণ, বাস্তবায়নের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বগ্রহণ করেছে। গত ৮ মাসে অভূতপূর্ব গতি অর্জন করেছে এই সংস্কারে। অনেকদিন পর বিচার বিভাগ ক্ষমতার পূর্ণ পৃথকীকরণের কাছাকাছি এসেছে, এ সুযোগ নষ্ট হলে বিচার বিভাগের মর্যাদা, অখণ্ডতা ও প্রাসঙ্গিকতার জন্য চরম ক্ষতিকর হবে। তাই আমার বার্তা পরিষ্কার। আশা করছি, এই বার্তা সারাদেশে সমানভাবে সবার মাঝে প্রতিফলন হবে।
ইউএনডিপি আয়োজিত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্য দক্ষতা বৃদ্ধিতে আঞ্চলিক সেমিনারে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারক জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার এইচ ই সারা কুকসহ অন্যান্য আমন্ত্রিতগণ। এই সেমিনারে রংপুর বিভাগের বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটররা অংশ নেন।
এর আগে ৪ এপ্রিল ৫ দিনের সফরে রংপুরে আসেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আগামী ৮ এপ্রিল রংপুর ত্যাগ করবেন।