
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তামিম ইকবাল। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তামিম, পরে জানা যায় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের। তৎক্ষণাৎ এনজিওগ্রাম পরীক্ষার মাধ্যমে তামিমের হার্টে দুটি ব্লক খুঁজে পায় ডাক্তাররা। দ্রুত একটি রিং পরানো হয়েছে, আর অন্যটি বেলুনের সাহায্যে ক্লিয়ার করা হয়েছে।
তবে বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন, তবে এখনই তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। আজ বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন তামিম। দ্রুত তাকে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়, তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে কেপিজে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হার্টে দুটি ব্লক ধরা পড়ে।
বর্তমানে তামিমের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও তিনি এখনো পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার এনজিওপ্লাস্টি সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। বিসিবি কিংবা তার পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও জানা গেছে, তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীলের দিকে।
আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল-ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানান তামিম একিউট এমআই বা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন, যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার প্রাইমারি পিসিআই করা হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যায়, এলসিএক্স ধমনিতে ব্লক রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়, যা হার্টে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে।
ডা. মঈনুল আহসান আরও জানান, প্রথমবার হাসপাতালে আসার পর তামিম ফিরে যান, তবে পরে আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তাকে পুনরায় ভর্তি করা হয়। এ সময় ১৫ মিনিট ধরে তাকে সিপিআর দেওয়া হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় সঙ্গে সঙ্গেই নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। তার পরিবারের পাশাপাশি বিকেএসপি পরিচালকের সাথেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।