
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে (৪৮) আবারও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৪ মার্চ) রাতে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মূল গেট থেকে জেলা গোয়েন্দা ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মোস্তাক জয়পুরহাট শহরের আরাফাত নগর মহল্লার ঠিকাদার আব্দুল হাফিজের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী এক দফা দাবিতে মিছিল করছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে পৌঁছালে ককটেল ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালান। এসময় পুলিশের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটে, যাতে শিক্ষার্থী শাফি সরকার চোখের ওপরে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনি জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং সুস্থ হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী শাফি সরকার জয়পুরহাট শহীদ জিয়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের পাথুরিয়া গ্রামের নাছির সরকারের ছেলে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে আটক করা হয় এবং তাকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আদালতের নির্দেশে ৮২ দিন পর মুক্তি পেলেও রোববার রাতে আবারও তাকে গ্রেফতার করা হলো।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী শাফি সরকারের দায়ের করা মামলায় জয়পুরহাটের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে গ্রেফতার করা হয়েছে।