
গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আজ শনিবার (২২ মার্চ) বিক্ষোভ মিছিল করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিকেল সাড়ে ৩টায় শাহবাগ মোড়ে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস রিলিজে বলা হয়, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিবাদের অংশীদারদের বিচার, দলের নিবন্ধন বাতিল এবং রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার বিকাল ৩টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, ঢাকা মহানগরের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এনসিপির সব নেতাকর্মীকে সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট দল আখ্যায়িত করে আইনের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে এনসিপি। এই দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। এছাড়া ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই’ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম আওয়ামী লীগকে মাফিয়া ও ফ্যাসিস্ট আখ্যায়িত করে বলেন, মাফিয়া গোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা গণহত্যাকারী। এদেশে রাজনীতির কোনো অধিকার তাদের নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দল মতাদর্শ ও মার্কার বিরুদ্ধে জনগণ ৩৬ জুলাই রায় জানিয়ে দিয়েছে।
এনসিপির আহ্বায়ক দাবি জানান, জুলাই গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে বিচার চলাকালে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে একটি বিদেশি গণমাধ্যমে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের নিন্দা জানান। নাহিদ বলেন, তিনি সরকারপ্রধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে এমন বক্তব্য দিতে পারেন না। আমরা তার বক্তব্যের নিন্দা জানাই।
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার জন্য দায়ী করেছে। অথচ তাদের বিচার এখনো হচ্ছে না। সারাদেশে ছাত্র-জনতাকে স্বৈরাচারদের বিচারের জন্য আবারো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নির্বাচন বা রাজনীতির বিষয়ে সেনাবাহিনীর কোনো মতামত দেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে মনে করেন জুলাই আন্দোলনের শীর্ষ এই নেতা।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির অন্যতম শীর্ষ নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের যে আলোচনা হয়েছে সেটা সরাসরি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।