
জয়পুরহাটের কালাইয়ে বিভিন্ন রাইস মিলে উৎপাদিত চাল ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে বাজারে ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা, আর লাভবান হচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
বিভিন্ন হাস্কিং ও অটো রাইস মিলে প্রস্তুত হওয়া চালগুলো প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়কজাত করে, তাতে নওগাঁ, পার নওগাঁসহ চটকদার ও ভিত্তিহীন ঠিকানা ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব বস্তার গায়ে নেই চালের জাত, উৎপাদনের তারিখ বা মূল্য। ফলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন চাল, যার ফাঁদে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
পাইকারি ও খুচরা দোকানদারদের মতে, স্থানীয় ঠিকানার চাল অনেক সময় বিক্রি কম হয়। তাই তারা বাধ্য হয়েই অন্য জেলার নাম ব্যবহার করেন যাতে বিক্রি বাড়ে এবং লাভ বেশি হয়। একজন ক্রেতা জানান, তিনি নওগাঁর বিখ্যাত ‘কাটারী’ চাল ভেবে ২৫ কেজির দুটি বস্তা কিনেছেন, পরে জানতে পারেন সেটি আসলে কালাইয়ের চাল।

চালকল মালিক সমিতির কয়েকজন সদস্যও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা জানান, খরচ বাঁচাতে ও বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে অনেকেই অন্য জেলার নাম ও লোগোসহ বস্তা ব্যবহার করছেন।
কালাই উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ আকন্দ বলেন, “অনেকে এ ধরনের কাজ করে থাকেন, এটি কোনো অপরাধ নয় বলে অনেকেই মনে করেন।”
তবে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, “প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। আর ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে চাল বিক্রি হলে সেটি অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, কালাই উপজেলায় প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়, যার বড় একটি অংশ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চালকলের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন।