বুধবার, ২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

ফের ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

দুই দিনের বিরতির পর আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা...

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে রিয়্যাক্টর কন্টেইনমেন্টের পরীক্ষা সম্পন্ন

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় চলছে দেশের সর্ববৃহৎ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ...

নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র হচ্ছেন জোহরান

নিউইয়র্ক সিটির চারশ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ডেমক্র্যাটিক পার্টির...

ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্টকে যা বললেন সৌদি যুবরাজ

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, আঞ্চলিক ঐক্যের জন্য ইরানের...

শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজের মৃত্যুর কারণ নির্যাতন, দাবি পরিবারের

ছবি : সংগৃহীত

শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনের ডানহাত হিসেবে পরিচিত হেজাজ ওরফে এজাজের।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান জানান, কিছুদিন আগে যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এজাজ। পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপর জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

গত দু’দিন যাবৎ তার প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংবাদের প্রেক্ষিতে তাকে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ তাকে শনিবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে শনিবার সন্ধ্যার আগে তিনি মারা যান।

স্বজনদের কাছ থেকে লাশটি এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। আইন অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হবে।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক। তিনি জানান, শনিবার ভোরে ডিবি পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ধ্যার দিকে ডায়ালাইসিস করার সময় তিনি মারা যান। এরপরই স্বজন ও বন্ধুরা তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে জোর করে নিয়ে চলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে আবার হাসপাতালে আনা হয়।

মৃতের বাবা শাহ আলম খান বলেন, তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায়। চার সন্তানের জনক হেজাজ। সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে জিগাতলা এলাকায় থাকতেন। ডিসের ব্যবসা করতেন তিনি। গত ১০ মার্চ মোহাম্মদপুর বাড়ৈখালী এলাকায় ইফতার পার্টি থেকে এজাজকে ধরে নিয়ে যায় যৌথবাহিনী। মোহাম্মদপুর থানার মাধ্যমে কারগারে পাঠায় তাকে। দু’দিন পর জামিনে বের হয়। তবে অসুস্থ থাকায় ধানমন্ডি জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

তিনি বলেন, আমার ছেলের কিডনিতে পাথর ছিল। তবে সে এত অসুস্থ ছিল না। তখন তার কিডনির পয়েন্ট (সেরাম ক্রিয়েটিনিন) ছিল ১.৪২। গ্রেফতার হওয়ার পর মারধরের কারণে তার কিডনির পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হয়।

তিনি আরও বলেন, শনিবার সকালে ডিবি পুলিশ আমার ছেলেকে ধানমন্ডির হাসপাতাল থেকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিকাল পাঁচটার দিকে তাকে নেওয়া হয় কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারে। সেখানে সন্ধ্যার দিকে মারা যায় আমার ছেলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনে আমার ছেলে মারা গেছে। যদি ধানমন্ডি হাসপাতালে ভর্তি থাকত তাহলে আমার ছেলে মারা যেত না।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাগরিবের আজানের পরপরই মারা যায় এজাজ। এরপর স্বজনরা জোরপূর্বক মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে চলে যায়। ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে নেওয়া হয় মরদেহ। সেখান থেকে পুলিশ আবার অ্যাম্বুলেন্সে করেই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

সন্ধ্যায় তেহরান থেকে রওনা দেবে বাংলাদেশিদের প্রথম দল

ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রথম দফায় ৩৫ জন বাংলাদেশি...

ফের ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু

দুই দিনের বিরতির পর আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা...

সেতু থেকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সেতু থেকে পড়ে নুরুদ্দিন (১৭) নামে এক...

টেলিগ্রামে প্রেম : মাদরাসা ছাত্রীকে যৌনপল্লিতে বিক্রি, গ্রেপ্তার এক

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক কিশোরী মাদরাসা ছাত্রীকে (১৭) প্রেমের...