
নরসিংদীর পলাশে অটোরিকশার ভাড়া করা নিয়ে বিরোধের জেরে সুমন মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের বাবা আলম মিয়া।
সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাতে পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বিকেলে জয়নগর বাজারে সুমন মিয়ার চাচা মুকুল মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশি আয়ুব মিয়া, মোমেন, তারেক, দেলোয়ারসহ ৪ থেকে ৫ জনের এক অটোরিকশা ভাড়া করা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আশিকের বাড়িতে হামলা করতে যায়। বাড়িতে লোকজনের আওয়াজ শুনে সুমন ও তার বাবা ঘর থেকে বের হয়। এসময় হামলাকারীরা সুমিন ও তার বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসি গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সুমনের মৃত্যু হয়। হামলায় আহত আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের চাচা মুকুল মিয়া বলেন, আমার মা অটোরিকশায় করে ভাতিজার জন্য ওষুধ আনতে গিয়েছিল। এসময় আয়ুব মিয়া, মোমেন, তারেক এই রিকশায় যেতে চেয়েছিল। রিকশার চালক কেনো মাকে নিলো এজন্য তারা খারাপ ব্যবহার করে। আমি তার প্রতিবাদ করি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করতে এসে সুমনকে কুপিয়ে হত্যা ও তার বাবাকে গুরুতর আহত করে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শওকত হাসান বলেন, রাতে দুইজন ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরমধ্যে সুমন হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে মারা যায়। আর আলম মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুমনের হাত, বুক ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।