
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির তিন নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির সাবেক নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
রোববার (৯ মার্চ) রাতে দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলীর যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বহিষ্কারাদেশে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের নাম উল্লেখ করে জানানো হয় যে, তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র ও আদর্শ বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে এবং দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর গঠনতন্ত্রের আলোকে এবং দলের স্বার্থ রক্ষার্থে জেলা বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি ও দল থেকে বহিষ্কার করা হলো।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে টিসিবি ও ভিজিএফের চালের কার্ড নিয়ে বিরোধের জেরে রফিকুল ইসলাম রফিকের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। শনিবার সকালে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে রফিককে ডেকে নেন তারা। এরপর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাসহ তাদের সহযোগীরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রফিককে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি বাদী হয়ে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন দর্শনা থানায়। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত পুলিশের অভিযানে এজাহারভুক্ত তিন আসামি—তসলিমুজ্জামান সাগর (৪৩), বিল্লাল হোসেন মোল্লা (৫০) ও আছের উদ্দিন মান্দারকে (৪২) গ্রেফতার করে পুলিশ।