সাম্প্রতিক সময়ে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। সেই আলোচনার মাঝেই বিস্ফোরক খবর দিলেন বাংলাদেশের সেরা তারকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেই এই ফরম্যাট থেকে অবসরে যাবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
নিজেই জানিয়েছেন এই কথা। একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ওয়ানডে খেলে যাবেন। পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসরে যাবেন সাকিব।
গণঅভ্যূত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকার পতনের সময় দেশের বাইরে ছিলেন তিনি। এরপর আর দেশে ফিরেননি সাকিব। পাকিস্তানের পর এখন ভারতের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলছেন সাকিব।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে অবসরের কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি। মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট।’
ভারত সফর শেষে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ঐ সিরিজে খেলতে চাইলে দেশে ফিরতে হবে সাকিবকে।

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান শাহরিয়ার নাফীস বলেছেন, ‘আমি মনে করি প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা সাকিব সম্পর্কে খুব স্পষ্টভাবে কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে যে দায়ের করা মামলায় কাউকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সাকিবের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে অন্তর্বর্তীকালীণ সরকার। ইনজুরি সমস্যা বা দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলে ঘরের মাঠের সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সাকিবের না খেলার কোন কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে এখন পর্যন্ত দেখছি না।’
এদিকে কানপুর টেস্টের আগে এবার সাকিবের ফিটনেস নিয়ে আপডেট দিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে সাকিব আল হাসানের ফিটনেস নিয়ে বলেন, ‘সাকিবের চোটের ব্যাপারে অফিশিয়ালি আমার কিছু জানা নেই। তবে ও এখনও কানপুর টেস্টে সুযোগ পাওয়ার দলে রয়েছে।’