
গাজীপুরের টঙ্গীতে এক তরুণীকে (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করেছেন তিন যুবক। এ ঘটনায় ওই তরুণী থানায় মামলা দায়ের করলে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার (৫ মার্চ) স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
ভুক্তভোগী তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন – টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত কেরামত আলীর ছেলে মো. মাসুম (৩৬) ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার নীলক্ষা গ্রামের হারিজ মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া (২৫)। এ ঘটনার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয় নগর থানার কচুয়ামুড়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (২৬) নামে অপর এক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা ওই তরুণী টঙ্গীর মাস্টারপাড়া এলাকায় আকিজ বেকার্স লিমিটেড নামক কারখানায় কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নির্যাতিতা ওই তরুণী ও তার সহকর্মী (ছেলে) কারখানায় কাজ করার জন্য বাসা থেকে বের হন। এ সময় ওই তিন যুবক তাদের গতিরোধ করেন। পরে নির্যাতিতা তরুণীর সহকর্মীকে (ছেলে) হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ওই যুবতীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করেন তারা। এ সময় অভিযুক্তরা তাদের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও করে রাখেন। ধর্ষণ শেষে নির্যাতিতা ওই নারীকে ধর্ষণের ধারণকৃত ভিডিও দেখিয়ে দশ হাজার টাকা দাবি করে ছেড়ে দেন তারা। ঘটনার এক দিন পর গত শুক্রবার রাতে ওই তরুণী টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে।
টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) উৎপল কুমার বলেন, তরুণী অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় জানতেন না। অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর আমরা অভিযুক্ত মাসুমকে গ্রেফতার করি। জিজ্ঞাসাবাদের পর মাসুম দল বেঁধে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ এবং টাকা দাবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।