
রাশিয়ার ওপর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা ভাবনাচিন্তা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করতেও উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।
এই অবস্থায় কোন কোন ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা যায়, তা বিবেচনা করে দেখতে চাইছে হোয়াইট হাউস।খবর রয়টার্সের।
মার্কিন প্রশাসনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে একটি খসড়া তালিকা তৈরির জন্য ইতিমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং রাজস্ব দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খসড়া তালিকা থেকে উঠে আসা বিষয়গুলি নিয়ে আগামী দিনে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছে আমেরিকা। এর অন্যতম উদ্দেশ্য মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে মসৃণ করা।
আমেরিকার প্রশাসনের ওই সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু সংস্থা এবং ব্যক্তির উপর মার্কিন নিষিধাজ্ঞা শিথিল করার একটি প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে।
আমেরিকায় নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিভাগের কর্মকর্তারা এই ধরনের খসড়া তৈরির কাজ মাঝেমধ্যেই করে থাকেন। তবে সম্প্রতি রুশ-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের আবহে হোয়াইট হাউস থেকে নির্দিষ্ট ভাবে এই খসড়া তৈরির গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে সম্ভবত কোনো চুক্তি করতে চাইছেন ট্রাম্প এবং তার পরামর্শদাতারা। সেই কারণেই তারা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বদলে রাশিয়ার থেকে কী চাইতে পারে আমেরিকা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে চেয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলেছেন। রাশিয়ার ওপর আর সাইবার নজরদারি চালাতে চায় না ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন সাইবার কমান্ড রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত নজরদারি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
ট্রাম্পের মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চেয়েও আমেরিকার জন্য বেশি চিন্তার বিষয় অবৈধ অভিবাসীরা। সমাজমাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, পুতিনকে নিয়ে বেশি ভাবার বদলে অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যার দিকেই নজর দিতে চান তিনি।