
‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা আর সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত যোগসাজশে শত্রুরা বিডিআর অভ্যুত্থানের নামে ৫৭ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলো’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেছেন।
সোমবার বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা ট্র্যাজেডির শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিলো। তারা পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনার সঙ্গে যোগসাজশ করেছিলো এবং যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে দুদিন ধরে পিলখানায় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজ পর্যন্ত এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। তবে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তারা অন্তত এটিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করি, এই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটন করা হবে এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, সেনা সদস্যদের এই ত্যাগ বৃথা যাবে না এবং বাংলাদেশ সত্যিকারের স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।