
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আক্কাস আলী বলেছেন, দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ার হোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে সালমানের বিরুদ্ধে। এছাড়া অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে সালমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ অন্যান্যদের নামে ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেয়েছে।
এছাড়া সালমানও তার পরিবারের সদস্যরা অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্য জায়গায় হস্থান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করারও চেষ্টা করছেন বলে দুদক জেনেছে।
দুদকের ভাষ্য, অনুসন্ধান কাজ শেষ হওয়ার আগেই বসম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে টাকা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে যাবে।
“মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল, বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। সেজন্য সালমান তার পরিবারের সদস্য এবং তার সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।”
সরকার পতনের পর ১৩ অগাস্ট সদরঘাট থেকে সালমানকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছিল ঢাকার পুলিশ।
গ্রেপ্তারের সময় সালমানের কাছ থেকে পাঁচটি সবুজ রঙের পাসপোর্ট ও একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়ার তথ্য রিমান্ড আবেদন যুক্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক আছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সালমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সে সব মামলায় তাকে দফায দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়।