অ্যাস্টন ভিলার মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল লিভারপুল। অলরেডদের পরের ম্যাচটাই আবার শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। এমন সমীকরণে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হ্যামকে হারাতে পারলেই লিগ টেবিলে শীর্ষে থাকা লিভারপুলকে নাগালে পেতে পারতো আর্সেনাল। কিন্তু ম্যাচ শেষে পরাজয়ের গ্লানি সে সম্ভাবনাকে উড়িয়েই দিয়েছে।
শনিবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে সব বিবেচনায় আর্সেনালই ছিল ফেভারিট। কিন্তু একেবারেই ভিন্ন ভাবনায় ছিল গ্রাহাম পটারের ওয়েস্ট হ্যাম। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে জ্যারড বোয়েনের একমাত্র গোলে ১-০ গোলে পরাজয়বরণ করল আর্সেনাল।
বল দখলে এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে হতাশ করেছে আর্সেনাল। পুরো ৪৫ মিনিটে ৯ বার ওয়েস্টহ্যামের গোলবারে শট নিয়েছে গানার্সরা। তার মাঝে লক্ষ্যে ছিল কেবল একটি শট। সেটিও ডিফেন্ডার রিকার্ডো ক্যালাফিওরির কল্যাণে। দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় খানিক পিছিয়েই ছিলেন গানার্স অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। যার খেসারত দিয়েছে দল।
আর্সেনালের বাজে খেলার মাশুল দিতেই যেন প্রথমার্ধের শেষদিকে এগিয়ে যায় ওয়েস্টহ্যাম। নিজেদের বক্সের সামনে থেকে বলের দখল নেন বোয়েন। এরপর খানিকটা এগিয়ে অ্যারন ওয়ান-বিসাকাকে পাস দেন তিনি। ফাঁকা উইং ধরে এগিয়েছেন ইংলিশ রাইটব্যাক। শেষ পর্যন্ত বক্সে দিয়েছেন মাপা পাস। গোলপোস্টের একেবারেই সামনে থেকে সহজ ফিনিশ করেছেন মিডফিল্ডার বোয়েন।
বিরতির পর সমতায় ফিরতে আগ্রাসী ফুটবল খেলার চেষ্টা করে আর্সেনাল। আর প্রতি-আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ওয়েস্ট হ্যাম। ৬২ মিনিটে সবচেয়ে ভালো সুযোগটাও পেয়ে যায় তারা। বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরাল শট নিয়েছিলেন লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ড। সেটি পা দিয়ে আটকে দেন গোলরক্ষক অ্যারেওলা। পিছিয়ে থাকা আর্সেনাল প্রতি মুহূর্তেই যেন একটু একটু করে পিছিয়ে পড়ছিল ম্যাচ থেকে। আর ৭৩ মিনিটে তাদের জন্য এলো বড় ধাক্কা।
কাউন্টার অ্যাটাক থামাতে গিয়ে ওয়েস্ট হাম মিডফিল্ডার মোহাম্মদ কুদুসকে ফেলে দেন আর্সেনালের লুইস-স্কেলি। প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের বাকি সময় একজন কম নিয়ে ভালোই চেষ্টা করেছে আর্সেনাল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর আসেনি।
এই ম্যাচের পর লিভারপুলের সঙ্গে আর্সেনালের ব্যবধান থাকল ৮ পয়েন্টই। ২৬ ম্যাচ শেষে অলরেডদের পয়েন্ট ৬১। আর সমান ম্যাচে মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের পয়েন্ট ৫৩। লিভারপুল আছে শীর্ষে, আর আর্সেনালের অবস্থান দুই। আর ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ১৬তম স্থানে হ্যামার্সরা।
