বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শীতকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

রূপপুর প্রকল্প নিয়ে গণমাধ্যমের খবর উস্কানিমূলক, ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রসাটম

বিভিন্ন গণমাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন...

নারীদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

নারীদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি...

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টকেও অভিশংসনের উদ্যোগ

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া হান ডাক-সুকেও...

দুর্নীতির মামলায় সাবেক সচিব ইসমাইল গ্রেফতার

ঘুষ, বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির...

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ৩ প্রস্তাব

এশিয়ানপোস্ট ডেস্ক

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে জাতিসংঘে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়ে প্রথম দিনেই রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভা করেন তিনি। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতিসংঘে ড. ইউনূসের নানান কার্যক্রমের মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা যে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, তারই বহিঃপ্রকাশ প্রথম এই বহুপাক্ষিক সভা।

সাধারণ অধিবেশনের সাইড ইভেন্টে এই সভার সহ-আয়োজক ছিল ইন্দোনেশিয়া, গাম্বিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে কী-নোট স্পিকার হিসেবে নিজ বক্তব্যে তিনটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রথম প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সব অংশীজনদের নিয়ে দ্রুত কনফারেন্স আয়োজন করতে পারেন। এই কনফারেন্স সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সৃজনশীল এবং অগ্রবর্তী পন্থা নির্ধারণ করবে।

দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’ আরও বেগবান করতে হবে এবং সবশেষে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া গণহত্যার মতো অপরাধের বিচার ও জবাবদিহিতাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন করতে হবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবছর ৩২ হাজার নতুন জন্ম নেওয়া শিশু বাংলাদেশের জনসংখ্যায় যুক্ত হচ্ছে। বিগত ২ মাসেই নতুন করে ২০ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার পাশাপাশি এই সংকট বাংলাদেশের জন্য সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত হুমকি বহন করছে। বিষয়টি প্রথাগত এবং অ-প্রথাগত নিরাপত্তা সংকটেরও জন্ম দিচ্ছে। রোহিঙ্গা সংকটে থমকে আছে বাংলাদেশের নিজস্ব উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। বাংলাদেশ তার সক্ষমতার চূড়ান্তে পৌঁছেছে।

ড. ইউনূস আরও বলেন, অদ্যবধি জাতিসংঘের একাধিক সাধারণ অধিবেশন, মানবাধিকার কাউন্সিল এমনকি নিরাপত্তা পরিষদও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ এবং সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারে সংকটের মূল সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কোনো উদ্যোগই কাজে আসেনি এবং বিগত ৭ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে যুবকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পুরো বিষয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকির নতুন স্তর যোগ করেছে। মিয়ানমারে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যেখানে সব সম্প্রদায়ের জনগণ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

সব শেষে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অধিকার, মর্যাদা এবং নিরাপত্তা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনঃব্যক্ত করেন অধ্যাপক ইউনূস। রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে সংকট উত্তরণের বার্তা দিয়ে নিজ বক্তব্য শেষ করেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

বগুড়ায় দুই ট্রাকের ধাক্কা, নিহত দুইজন

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে দ্রুতগতির অপর একটি...

রূপপুর প্রকল্প নিয়ে গণমাধ্যমের খবর উস্কানিমূলক, ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রসাটম

বিভিন্ন গণমাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন...