কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চন্ডিপাশা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একটি ভিডিও ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ পনেরো দিন। এই পনেরো দিনের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিল করে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৫১ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও আরও ৫ জন যুগ্ম আহ্বায়ক (সাক্ষরপ্রাপ্ত) চন্ডিপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটিও অনুমোদন করেন। এতে মো. বদরুল আলমকে আহ্বায়ক করা হয়।
এদিকে শনিবার বিকেলে চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলের আয়োজন করা হয়। এসময় সভাপতি পদ নিয়ে এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে চেয়ার ভাঙচুর করে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে দুজনকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এবং তিনজনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস ছাত্তার জানান, শনিবার বিকেলে চন্ডিপাশা ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি দুই সভাপতির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে বেশকয়েকজন আহত হয়েছেন শুনেছ। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া।
চন্ডিপাশা ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মো. বদরুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মোবারক হোসেন জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
