
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। দুই দলের বিপক্ষেই জিতে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। তাই পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি ছিল কার্যত সেমি-ফাইনালের মতোই। যেখানে প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।
৩৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর দুই ওপেনার ফাখর জামান আর বাবর আজম মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন। ১৯ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান বাবর আজম। এরপর মাঠে নেমে ফখর জামানের সঙ্গে জুটি বাধেন সউদ শাকিল। ১৬ বলে ১৫ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান।
দলীয় ৯১ রানের মাথায় ২৮ বলে ব্যক্তিগত ৪১ রান করে ফাখর জামান আউট হন। এর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ার শঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু সবার ধারণা পাল্টে দিয়ে জুটি গড়ে দাঁড়িয়ে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলি আগা। ৯১ রান থেকে ৩৫১ রান পর্যন্ত ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান এ দু‘জন।
১০৩ বলে ১৩৪ রানের বিশাল ইনিংস খেলে আউট হন সালমান আলি আগা। ১৬টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কার মার মারেন সালমান। তার আগে ৮৭ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির মাইলফলক পূর্ণ করেন আলি আগা। ১২৮ বলে ১২২ রান করে অপরাজিত থেকে জয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ওয়ানডেতে রিজওয়ানের এটা চতুর্থ সেঞ্চুরি।
রিজওয়ান ও আলি আগার ২৬০ রানের জুটি পাকিস্তানের হয়ে রেকর্ড। পাকিস্তানের ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪র্থ উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ রান। এর আগে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ২০৬ রান তুলেছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ এবং শোয়েব মালিক।
এর আগে লাহোরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন টেম্বা বাভুমা এবং টনি ডি জর্জি। ৫১ রানের জুটি গড়েন তারা। ২২ রান করে আউট হন টনি ডি জর্জি। টেম্বা বাভুমা করেন ৮২ রান। ম্যাথ্যু ব্রিটজকে করেন ৮৩ রান এবং হেনরিক ক্লাসেন করেন ৮৭ রান। কাইল ভেরাইনি ৪৪ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান করে।