
যশোরে অভিযান চালিয়ে বলরামপুরের ত্রাস ফেরদৌস আলমসহ আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক কাজী বাবুল।
গ্রেফতাররা হলেন- যশোর সদরের বলরামপুরের হাজী খোরশেদ আলম বিশ্বাসের ছেলে ফেরদৌস আলম, উপশহর ডি-ব্লকের মনিরুজ্জামানের ছেলে মিজানুর রহমান রাফি, শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়া মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদ খোকন, ফতেপুরের ভায়না গ্রামের সুকুমার ঘোষের ছেলে মদন কুমার ঘোষ, একই গ্রামের বদর উদ্দীনের ছেলে শেখ হারুন অর রশীদ, রামকৃষ্ণপুরের হোসেন আলী মোল্যার ছেলে সোহরাব হোসেন শিহাব, লেবুতলা এনায়েতপুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে তুষার ও লেবুতলার আকমলের ছেলে জাহাদায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফেরদৌস নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হলেও তার দাপটে অস্থির ছিল পুরো ইউনিয়নবাসী। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, বিএনপি নেতাদের আটক বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন তিনি।
পরিদর্শক কাজী বাবুল জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর যশোর সদরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে বোমাবাজির অভিযোগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মঞ্জুরুল ইসলাম। এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ ৯৬ জন।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ৯ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।