মঙ্গলবার, ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

জুলাইয়ের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক...

জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন : উপদেষ্টা ফারুক আজম

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক...

শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ট্রাইব্যুনালের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফ্যাসিস্ট...

ঢাকায় অলিম্পিক ডে র‌্যালির উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের...

শিরোপার মুকুট ধরে রাখল বরিশাল

ছবি : সংগৃহীত

ক্ষণে ক্ষণে রং পাল্টানো ফাইনালে শেষ হাসি তামিম-মুশফিকই হাসলেন। ক্যারিয়ারের শেষ ট্রফি মনে করে তামিম তো সবাইকে নিয়ে গ্যালারি প্রদক্ষিণও করেন। তাদের মুখে এই হাসি ফুটিয়েছেন রিশাদ হোসেন। অভিজ্ঞ সবাই যখন বিদায় নিয়েছেন, তখন জাদু দেখান এ তরুণ। শেষ দুই ওভারে তাঁর দুটি ছক্কায় কঠিন স্নায়ুর পরীক্ষায় উতরে গিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বরিশাল। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পর তৃতীয় দল হিসেবে ব্যাক টু ব্যাক বিপিএল জিতল ফরচুন বরিশাল। চিটাগং কিংসের ৩ উইকেটে করা ১৯৪ রান তারা ৭ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় ৩ বল হাতে রেখে।

দুইশর কাছাকাছি রান তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল ও কাইল মায়ার্সের দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ বরিশালের হাতের মুঠোই চলে এসেছিল। শেষ ১৮ বলে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল বরিশালের, হাতে উইকেট ৬টি। ধুন্ধুমার টি২০ যুগে এটা মামুলি বিষয়। কিন্তু ১৮তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে মায়ার্স-মাহমুদউল্লাহ দু’জনকেই আউট করে দেন শরিফুল। জোড়া উইকেটে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে চিটাগং।

তবে রিশাদ হোসেন উইকেটে গিয়ে ছয় মেরে আবার ম্যাচ বরিশালের আয়ত্তে নিয়ে আসেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নবি ক্যাচ দিলে আবার যেন ম্যাচ চিটাগংয়ের দিকে হেলে যায়। শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ৮ রান। তিন ফাস্ট বোলারের কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় শেষ ওভারে মিডিয়াম পেসার হোসাইন তালাতের হাতে বল তুলে দেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক মিঠুন। তাঁর প্রথম বলেই মাথার ওপর দিয়ে ছয় মেরে দেন রিশাদ। পরের বলে সিঙ্গেল নিলে দুই দলের স্কোর সমান হয়ে যায়। পরের বলে তানভীর ব্যাটে-বলে করতে না পারলে আবার বরিশালবাসীর টেনশন। পরের বলটি তালাত ঠুকে দিলে তানভীরের মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। দুই ব্যাটার রানের জন্য দৌড় শুরু করার পরই দু’হাত প্রসারিত করে ওয়াইডের সংকেত দেন আম্পায়ার। সংকেত দেখে রান নেওয়া বাদ দিয়ে বিজয় উদযাপনে ভোঁ দৌড় দেন তানভীর-রিশাদ। ডাগআউট থেকে ছুটে এসে তাদের জড়িয়ে ধরে আনন্দে শামিল হন সতীর্থরা।

একে তো ফাইনালের চাপ, তার ওপর দুইশ ছুঁইছুঁই টার্গেট– এমন পরিস্থিতিতে যেমন উদ্যমী ভয়ডরহীন সূচনা দরকার, সেটাই করেন তামিম ইকবাল। বিনোরা ফার্নান্দোর প্রথম ওভারেই তিন চার মেরে ১৪ রান তুলে নেন তামিম। এর পর শরিফুলকেও টানা তিন চার মারেন। ২৪ বলে ৫০ পূরণ করে রান তাড়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তামিম। ওপেনিং জুটিতে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৮ ওভারে ৭৬ রান তোলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৫৪ রান করে শরিফুলের বলে লংঅফ সীমানায় ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি। তামিম ক্যাচ দেওয়ার তিন বল পর শরিফুলের দারুণ এক ডেলিভারিতে ডেভিড মালানও এলবির ফাঁদে পড়েন। এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে উজ্জীবিত হয় ওঠে কিংস। এর পর তাওহিদ হৃদয় এবং মুশফিকুর রহিমও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে কাইল মায়ার্স দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান আর ফিনিশিং দেন রিশাদ।

কে ভেবেছিল, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ফাইনালে আসা চিটাগং কিংস এমন উড়ন্ত সূচনা করবে! টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে একেবারে রেকর্ড করে বসেন চিটাগংয়ের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফি। ফরচুন বরিশালের বোলিং আক্রমণ বেধড়ক পিটিয়ে ওপেনিং জুটিতে তারা দু’জন ১২১ রান তুলে নেন, যা বিপিএল ফাইনালে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ। এর আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ওপেনিংয়ে সেঞ্চুরি জুটি হয়নি। গত বছর বরিশালের হয়ে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৬ রানের জুটিটি ছিল এতদিনের সেরা।

৭৬ বলে ১২১ রানের রেকর্ড জুটির পথে দারুণ ব্যাটিং করেন চিটাগংয়ের দুই ওপেনার। শুরুটা করেন পারভেজ। দুই ওভার দেখেশুনে খেলার পর স্পিনার তানভীরের তৃতীয় ওভারে দুই ছয়ে ১৮ রান তুলে নেন পারভেজ। পাওয়ার প্লেতে চিটাগং রান তোলে ৫৭, যেখানে পারভেজের সংগ্রহ ৩২, সেটাও মাত্র ১৫ বলে। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন পারভেজ। একটু দেরিতে হাত খোলা নাফি রিশাদকে ছক্কা মেরে পঞ্চশ করেন ৩৭ বলে। এরই মধ্যে তারা ১০০ পেরিয়ে যান, নতুন ওপেনিং রেকর্ডও করেন। শেষ পর্যন্ত এবাদত ভাঙেন এ জুটি।

৪৪ বলে ৬৬ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি। এর পর গ্রাহাম ক্লার্ক এসে রানের গতি আরও বাড়িয়ে দেন। তবে হাফ সেঞ্চুরি পূরণের পর পারভেজ কিছুটা স্লথ হয়ে যান। ৩০ বলে ৫০ করা এ ওপেনার পরের ১৯ বলে ২৮ রান করেন। তাই তো শেষ চার ওভারে হাতে এক গাদা উইকেট থাকার পরও ৩১ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা। শেষ দিকে মাংসপেশিতে টান পড়ায় দৌড়াতেও সমস্যা হচ্ছিল ক্লার্কের। ২৩ বলে ৪৪ রান করে রান আউট হয়ে যান। আর ইমন ৪৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ দিকে প্রত্যাশামতো রান তুলতে না পারলেও চিটাগংয়ের ৩ উইকেটে করা ১৯৪ রান বিপিএল ফাইনালের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

দেশের তিনটি বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া...

জুলাইয়ের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক...

পরিবর্তন করা হলো দেশের ৫৭ কলেজের নাম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে দেশের ৫৭টি সরকারি কলেজ ও মহাবিদ্যালয়ের...

জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন : উপদেষ্টা ফারুক আজম

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক...