
ভারত থেকে শেখ হাসিনার অবিরাম বিবৃতির কারণেই ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বক্তব্য দেওয়া থেকে শেখ হাসিনাকে বিরত রাখতে বারবারই ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। দিল্লি কি করে সেটি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। গতকাল ভাঙচুরের সময় সেনাবাহিনী উপস্থিত ছিল, থামানোর চেষ্টা করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডকে ঢাকা উসকানিমূলক বলে মনে করায় নয়াদিল্লিকে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেছে। তবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে কোনো জবাব পায়নি ঢাকা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা সফর করবেন জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আলাদা দেশ হিসেবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চায় ঢাকা।
বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ ও পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তবে অবশ্যই দেশের সম্পর্ককে বড় করে দেখা হবে।
ভারতের সাথে সম্পর্ক প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের ভারতের সাথে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। তবে এটি থেকে উত্তরণের পথ আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি। এছাড়া বিদেশীদেরকেও আমরা আশ্বস্ত করেছি, বাংলাদেশ স্থিতিশীল আছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চীনের সাথেও আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গেও আমাদের কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি দেশের সাথেই আমাদের স্থিতিশীল সম্পর্ক বিরাজ করছে।
ইউএসএআইডি-এর সহায়তা কার্যক্রম বিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, বাংলাদেশকে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে হবে। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য কার্যক্রম আপাতত চালু আছে। কিন্তু আমাদের আগে থেকেই বিকল্প ভেবে রাখতে হবে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিং-এ এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বসবাসরত দেশের নিয়ম কানুন মেনে চলার প্রতি আহবান জানান।