মঙ্গলবার, ২৪শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

বাংলাদেশে চালু হলো ‘গুগল পে’

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো গুগলের ডিজিটাল লেনদেন সেবা গুগল...

জুলাইয়ের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক...

জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন : উপদেষ্টা ফারুক আজম

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক...

শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ট্রাইব্যুনালের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফ্যাসিস্ট...

শেখ হাসিনাসহ কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা গুমের ঘটনায় জড়িত : এইচআরডব্লিউ

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা তদারকি করতে গিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কয়েকজন শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির সম্প্রতি প্রকাশিত ‘আফটার দ্য মনসুন রেভ্যুলিউশন: এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, শেখ হাসিনা, শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুমের ঘটনা তদারকিতে যুক্ত ছিলেন।

জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী জাতীয় কমিশন ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, জোরপূর্বক গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ গুম করে রাখার বিষয়ে অবগত ছিলেন।

হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর, গোপন আটক কেন্দ্র থেকে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং এই তিনজনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে তাদের আটক রাখার কথা অস্বীকার করে আসছিল।

গুম হওয়ার শিকার আইনজীবী মীর আহমাদ বিন কাসেম বলেছেন, তাকে যে স্থানে আটক রাখা হয়েছিল সেটি ‘বন্দীদের মৃত্যুর চেয়েও খারাপ অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল।’

এদিকে ন্যাশনাল ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের ধরণ শুধু পদ্ধতিগত নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিকও ছিল।

এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ভেঙে দিতে সরকারের জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করা উচিত।

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে এইচআরডব্লিউ বলেছে, র‌্যাব প্রধান এ কে এম শহীদুর রহমান ইউনিটের গোপন ডিটেনশন সেন্টারের কথা স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার ইউনিটটি ভেঙে দিতে চাইলে র‌্যাব সিদ্ধান্ত মেনে নেবে।

বাংলাদেশে বিভেদমূলক রাজনীতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে ঢুকে যেতে পারে উল্লেখ করে এইচআরডব্লিউ বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আটক করে রাখার সকল স্থানে অঘোষিত পরিদর্শন করার কর্তৃত্ব সহ আইন প্রয়োগের উপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে সহ স্বাধীন বেসামরিক তদারকি প্রতিষ্ঠা করা।

এছাড়াও, বাহিনীর ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড প্রয়োগ করা উচিত যাতে সুস্পষ্ট হয় যে, নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সদস্য আইন লঙ্ঘন করলে তাকে দায়ী করা হবে। প্রতিবেদনে এই বিষয়টিকেও সামনে এনেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় জমায়েতের আশঙ্কা করেছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা...

কুইন্স কাপ জয় আলকারাসের

উইম্বলডনের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামার আগে প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত...

এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে আজ রাতে মিয়ানমার যাচ্ছে নারী দল

এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের জন্য ২৩ সদস্যের দল...

নোয়াখালীতে ১১ মাদকসেবীর কারাদন্ড

নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাদক সেবন ও বিক্রির...