
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আবারও মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের অবরোধে মহাখালী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়ার সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষা উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পরপরই ফের সড়ক অবরোধের সিদ্ধান্তে এসেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার কলেজটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে এমন কর্মসূচি জানানো হয়েছে। সংগঠনটির ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে-‘এখন মানে এখনই ব্যারিকেড। সবাই তাহবান্দে আসুন’, ‘দাবি আদায়ের এক পথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘সবাই আমতলী মুভ করেন, সড়ক ও রেল অবরোধ হবে’, ‘কাল নয় আজই ব্যারিকেড হবে, এখন মানে এখনই। সবাই দ্রুত চলে আসুন’।
শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান বলেন, আপনাদের (সরকারের) খামখেয়ালি আমাদের রাজপথে আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করছে। আমাদের আন্দোলনের ফলে সৃষ্টি হওয়া জনদুর্ভোগের জন্য আপনারা দায়ী।
গত কয়েকদিন ধরেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সড়কে রয়েছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সড়ক অবরোধের কারণে কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে। রোববারও সকালেও মহাখালীতে কলেজটির ক্যাম্পাসের সামনের সড়ক বাঁশ দিয়ে অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় গুলশান মোড় থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কের দুপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।