
‘স্বৈরাচারের মাথাটা পালিয়ে গেছে। কিন্তু স্বৈরাচারের কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে বাংলাদেশে। যে কোনো সময় তারা ভিন্ন আঙ্গিকে মাথা চাড়া দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ মন্তব্য করেছেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, “যদি দেশকে রক্ষা করতে হয়, দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হয়, তাহলে ঐক্যের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যত মানুষ প্রতিবাদ করেছে প্রত্যেকটি মানুষ হয়েছে অত্যাচারিত।’
গতকাল বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, দিন শেষে আমরা এক। আমাদের সামনে দেশ পুনর্গঠনের কাজ। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বেকারত্ব দূরীকরণ, কৃষি ও শিল্প খাতে উন্নয়ন ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা কৃষককে ন্যায্য মূল্য দিতে চাই। তবে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন জনগণের মধ্যে নাভিশ্বাসের কারণ না হয়।’
তিনি বলেন, ‘অচল করা কারখানাগুলো সচল করতে হবে। আমাদের অসংখ্য নদনদী ও খাল ভরাট হয়ে গেছে। এগুলো খনন করতে হবে। আগামী দিনে সংসদের মেয়াদ কত হবে, সংখ্যা কত হবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই বিতর্ক থাকতেই পারে। দিন শেষে আমরা এগুলো জনগণের ওপর ছেড়ে দেব। এই নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বিতর্ক রাষ্ট্র মেরামতের কাজকে বিঘিœত করবে। তবে এর একমাত্র উপায় হলো জাতীয় নির্বাচন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে এর ফয়সালা হবে।’
তিনি আরও বলেন, “বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। উন্নয়নের নাম করে সামান্য জিনিস দৃশ্যমান করা হলেও এর মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। রাষ্ট্র্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের কর্মী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতিকে পথ দেখাতে হবে। শুধু আমাদের দলই নয় দেশের যেসব রাজনৈতিক দল যাদের এজেন্ডা দেশ ও দেশের মানুষ তাদের সঙ্গে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ সময় দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।