বুধবার, ২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

বাংলাদেশে চালু হলো ‘গুগল পে’

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো গুগলের ডিজিটাল লেনদেন সেবা গুগল...

জুলাইয়ের শুরুতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক...

জুলাই যোদ্ধারা আগামী মাস থেকে ভাতা পাবেন : উপদেষ্টা ফারুক আজম

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘জুলাই যোদ্ধারা’ আগামী মাস থেকে মাসিক...

শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ট্রাইব্যুনালের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফ্যাসিস্ট...

বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলায় উন্নয়নের আহ্বান

ছবি : সংগৃহিত

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে ‘অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন ২০২৪’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

২০২৪ সালে অর্জিত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বিবরণ সম্বলিত এ প্রতিবেদনে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের (এএ) রূপান্তরকারী সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি এতে বাংলাদেশে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতে অর্থায়ন ও কভারেজ ঘাটতি মোকাবিলার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ডব্লিউএফপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে বলা হয়, দুর্যোগের প্রভাব কমাতে অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

এই প্রতিবেদন সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, এই প্রতিবেদনটি অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের মূল শিক্ষা, প্রভাব ও প্রসারের সুযোগ তুলে ধরেছে। ২০২৪ সালে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছি, যা অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের গুরুত্ব প্রমাণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আগে নগদ সহায়তা প্রদান করে আমরা উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়েছি, জীবিকা সুরক্ষিত রেখেছি এবং মানুষের জন্য জরুরি সম্পদ নিশ্চিত করেছি। একইভাবে, জুলাই মাসের বন্যা ও স্থানীয় দুর্যোগের সময় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের সহায়তা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করে দূর্যোগ মোকাবিলা করা, আগাম সতর্কতামূলক টুল উন্নতকরণ, এবং কমিউনিটি লেভেলে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

এই অর্জন সত্ত্বেও প্রতিবেদনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। ২০২৫ সালের জন্য একটি বড় অর্থায়ন ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে এখনও অর্ধেকের বেশি অর্থের যোগান নিশ্চিত করা যায়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থায়নের প্রয়োজন বর্ষা কালের বন্যার জন্য (২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ঘূর্ণিঝড়ের জন্য (১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং আকস্মিক বন্যার জন্য (৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

এছাড়া, ২০২৪ সালে প্রয়োজনীয়তার মুখোমুখি ৫৪ শতাংশেরও বেশি পরিবার সহায়তা পায়নি, যেখানে আকস্মিক বন্যার ক্ষেত্রে ৮৮ দশমিক ২ শতাংশ কভারেজ ঘাটতি ছিল। কভারেজ সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা এখনও অত্যন্ত জরুরি।

প্রতিবেদনটিতে ২০২৫ সালে বাড়তে থাকা ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের অব্যাহত প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। এটি কভারেজের জন্য ২৩টি জেলা চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ, ভূমিধস, খরা ও ভারী বৃষ্টিপাতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুন কাঠামো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৪ দশমিক ১ মিলিয়নেরও বেশি পরিবার বড় ধরনের বিপদে পড়ার সম্ভাবনায় রয়েছে, যার মধ্যে ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন পরিবার উল্লেখযোগ্য প্রভাবের শিকার হতে পারে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য, প্রতিবেদনটি ঝুঁকি পুলিং, অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বীমা এবং বহু-বছরের অর্থায়ন প্রতিশ্রুতি অনুসন্ধানের পরামর্শ দেয়, যাতে দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা যায়।

ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের হেড অফ প্রোগ্রামস রিকার্ডো সাপ্পো বলেন, প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন প্রতিষ্ঠা এবং কার্যকরী করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে অর্থায়ন এবং কভারেজ ঘাটতির চ্যালেঞ্জগুলো এখনও বিদ্যমান। এই ঘাটতিগুলো উন্নত সমন্বয়, উদ্ভাবনী অর্থায়ন এবং বিপদে কভারেজের মাধ্যমে সমাধান করা গেলে, বাংলাদেশ তার অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে অবস্থান শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এএ প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়ার জন্য দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে, যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইউএন সার্ফ, কইকা, এবং অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানাই।’

ডব্লিউএফপি বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংস্থা যা জরুরি পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষা করে এবং সংঘাত, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করে মানুষের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথ তৈরি করতে খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করে।

সূত্র : বাসস।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

আওয়ামী লীগ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বড় জমায়েতের আশঙ্কা করেছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা...

কুইন্স কাপ জয় আলকারাসের

উইম্বলডনের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামার আগে প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত...

এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে আজ রাতে মিয়ানমার যাচ্ছে নারী দল

এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের জন্য ২৩ সদস্যের দল...

নোয়াখালীতে ১১ মাদকসেবীর কারাদন্ড

নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় মাদক সেবন ও বিক্রির...