মঙ্গলবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শরৎকাল

ট্রেন্ডিং টপিক

ইসরায়েলে পৌঁছুলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। এয়ার ফোর্স...

পিআর পদ্ধতি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের ইস্যুটি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে...

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি, শহীদ মিনারে অবস্থান

২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে...

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ দ্রুত চূড়ান্ত করে অধ্যাদেশ জারির...

বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলায় উন্নয়নের আহ্বান

ছবি : সংগৃহিত

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে ‘অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন ২০২৪’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

২০২৪ সালে অর্জিত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বিবরণ সম্বলিত এ প্রতিবেদনে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের (এএ) রূপান্তরকারী সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি এতে বাংলাদেশে জলবায়ুজনিত দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতে অর্থায়ন ও কভারেজ ঘাটতি মোকাবিলার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ডব্লিউএফপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে বলা হয়, দুর্যোগের প্রভাব কমাতে অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

এই প্রতিবেদন সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, এই প্রতিবেদনটি অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের মূল শিক্ষা, প্রভাব ও প্রসারের সুযোগ তুলে ধরেছে। ২০২৪ সালে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছি, যা অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের গুরুত্ব প্রমাণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আগে নগদ সহায়তা প্রদান করে আমরা উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়েছি, জীবিকা সুরক্ষিত রেখেছি এবং মানুষের জন্য জরুরি সম্পদ নিশ্চিত করেছি। একইভাবে, জুলাই মাসের বন্যা ও স্থানীয় দুর্যোগের সময় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের সহায়তা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করে দূর্যোগ মোকাবিলা করা, আগাম সতর্কতামূলক টুল উন্নতকরণ, এবং কমিউনিটি লেভেলে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

এই অর্জন সত্ত্বেও প্রতিবেদনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। ২০২৫ সালের জন্য একটি বড় অর্থায়ন ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে এখনও অর্ধেকের বেশি অর্থের যোগান নিশ্চিত করা যায়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থায়নের প্রয়োজন বর্ষা কালের বন্যার জন্য (২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ঘূর্ণিঝড়ের জন্য (১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং আকস্মিক বন্যার জন্য (৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

এছাড়া, ২০২৪ সালে প্রয়োজনীয়তার মুখোমুখি ৫৪ শতাংশেরও বেশি পরিবার সহায়তা পায়নি, যেখানে আকস্মিক বন্যার ক্ষেত্রে ৮৮ দশমিক ২ শতাংশ কভারেজ ঘাটতি ছিল। কভারেজ সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা এখনও অত্যন্ত জরুরি।

প্রতিবেদনটিতে ২০২৫ সালে বাড়তে থাকা ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের অব্যাহত প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। এটি কভারেজের জন্য ২৩টি জেলা চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ, ভূমিধস, খরা ও ভারী বৃষ্টিপাতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুন কাঠামো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৪ দশমিক ১ মিলিয়নেরও বেশি পরিবার বড় ধরনের বিপদে পড়ার সম্ভাবনায় রয়েছে, যার মধ্যে ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন পরিবার উল্লেখযোগ্য প্রভাবের শিকার হতে পারে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য, প্রতিবেদনটি ঝুঁকি পুলিং, অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বীমা এবং বহু-বছরের অর্থায়ন প্রতিশ্রুতি অনুসন্ধানের পরামর্শ দেয়, যাতে দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা যায়।

ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের হেড অফ প্রোগ্রামস রিকার্ডো সাপ্পো বলেন, প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন প্রতিষ্ঠা এবং কার্যকরী করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে অর্থায়ন এবং কভারেজ ঘাটতির চ্যালেঞ্জগুলো এখনও বিদ্যমান। এই ঘাটতিগুলো উন্নত সমন্বয়, উদ্ভাবনী অর্থায়ন এবং বিপদে কভারেজের মাধ্যমে সমাধান করা গেলে, বাংলাদেশ তার অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে অবস্থান শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে এএ প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়ার জন্য দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে, যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইউএন সার্ফ, কইকা, এবং অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানাই।’

ডব্লিউএফপি বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংস্থা যা জরুরি পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষা করে এবং সংঘাত, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে পুনরুদ্ধার করে মানুষের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথ তৈরি করতে খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করে।

সূত্র : বাসস।

সর্বশেষ সংবাদ

এমন আরো সংবাদ
এশিয়ান পোস্ট বিডি ডট কম

মঙ্গলবার নতুন কুঁড়ির চূড়ান্ত পর্বের বাছাই শুরু

বিটিভিতে শিশু কিশোরদের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’র চূড়ান্ত পর্যায়ের...

ইসরায়েলে পৌঁছুলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। এয়ার ফোর্স...

১৬ অক্টোবর এইচএসসি’র ফল প্রকাশ

আগামী ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত হবে চলতি বছরের এইচএসসি ও...

পিআর পদ্ধতি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের ইস্যুটি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে...