
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে এই ডিজেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্র বলছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ২০২৫ সালের পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।
এর প্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে চুক্তির আওতায় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল (০.০০৫% ‘সালফার’) ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
এই ডিজেল আমদানির ব্যয় ধরা হয় ৯ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ এক হাজার ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রতি ব্যারেল ডিজেলের মূল্য ধরা হয়েছে ৫.৫০ ডলার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা অনুমোদন দেয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় ২০১৬ থেকে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে। পাইপলাইন নির্মাণের আগে এনআরএল থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হতো।
২০২৩ সালের ১৮ মার্চ থেকে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।