
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। গাজার উত্তরাঞ্চলের চেকপয়েন্ট খুলে দেওয়ার পর তিন লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সকালে সামরিক অঞ্চল নেতজারিম করিডোর গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এর দুই ঘণ্টা পর পায়ে হেঁটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, প্রবেশ পথ খুলে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ পায়ে হেঁটে উত্তর গাজায় ফিরেছেন। আর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস জানায়, তিন লাখের বেশি মানুষ উত্তর গাজায় ফিরেছেন।

উত্তর গাজার এক তরুণী লামিস বলেন, ‘আজকের দিনটি আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। আজ যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আমাদের বাড়ি পুরোপুরি মাটিতে মিশে গেছে, কিন্তু আমরা মনোবল হারাইনি। আমরা আবার আমাদের বাড়ি বানাবো। এমনকি যদি শুধু বালি আর কাদা দিয়ে তৈরি করতে হয়, তাও করবো।
সাবরিন জানুন নামের এক নারী বলেন, ‘আমরা ফিরতে পেরে আনন্দিত। তবে ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ি আর ধ্বংসস্তূপ দেখে কান্না পাচ্ছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৭ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। গত ১৫ মাসের হামলায় ৮০ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলা থেকে বাদ যায়নি উপত্যকার স্কুল, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও।