
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিয়ে ভারতের ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান। সোমবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার শুনানি শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টবি ক্যাডম্যান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, আমি এমনটাই আশা করি। তাঁকে ফেরত দিয়ে দেশটির ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকা উচিত।’
এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের উচিত হবে, তারা বিচারহীনতার পক্ষে দাঁড়াবেন, নাকি একজন মানুষকে বিচারের পক্ষে দাঁড় করাবেন। উনি (টবি) যেটা বলেছেন, আমরা আশা করি ভারত ন্যায় বিচারের পক্ষে দাঁড়াবে। সেভাবেই আন্তর্জাতিক নর্মস মেনে তাকে (শেখ হাসিনান) বাংলাদেশের কাছে প্রত্যার্পন করবে যাতে করে সে এখানে নিজেকে ডিফেন্ড করতে পারে।’
এরআগে, জুলাই-আগষ্ট গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রসিকিউশনের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পরে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আজকে আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছেন। আর বাকি ছয়জন পুলিশ সদস্য।