
প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত-সম্পর্কিত সমস্যাগুলো স্থল সীমান্ত চুক্তির অধীনে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রেরিত বার্তায় বলা হয়েছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তি কাঠামোর অধীনে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা উচিত বলে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও উল্লেখ করা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) চৌকা সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর একটি কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাধা দেয় এবং উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এছাড়া গত শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে শূন্যরেখার কাছে ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন বাংলাদেশি আহতের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, এখন সীমান্ত পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক আছে। তবে ভারতের বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করছে। তাই এখন থেকে বিজিবিও ব্যবহার করতে পারবে। বিজিবিকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেনার পর তারা এগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দেখা গেছে, বিএসএফ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। বিজিবির কাছে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নেই। তাদের কাছে শুধু প্রাণঘাতী অস্ত্র আছে। এমন বাস্তবতায় বিজিবির জন্য কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা ব্যবহার করবে।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এখন স্থিতিশীল আছে, সেখানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ব্যবহার করে বিজিবি সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবে, পাশাপাশি জননিরাপত্তা বজায় রাখতেও সহায়ক হবে বলে আশাবাদ জানানো হয়।