
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ও ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে দিনভর চলা সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবি’র প্রশংসা করেছে তারা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এই তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম বলছে, শনিবার পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকরা মালদা জেলার সুখদেবপুর সীমান্ত ফাঁড়িতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কিছু ভারতীয় কৃষক অন্যান্য দিনের মতো আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে তাদের ক্ষেতে যাওয়ার পর এই ঘটনাটি ঘটে।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের একটি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় কৃষকরা সীমান্তের ওপারে ক্ষেতে কাজ করা বাংলাদেশী কৃষকদের বিরুদ্ধে ফসল চুরি করার অভিযোগ আনে, যার কারণে উভয় দেশের কৃষকদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। উভয় পক্ষের কৃষকরা ব্যাপক সংখ্যায় জড়ো হতে শুরু করলে এবং একে অপরকে গালিগালাজ ও পাথর ছুঁড়তে শুরু করার পর ঘটনাটি গুরুতর অবস্থার দিকে মোড় নেয়।”
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বিএসএফ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বেশ কিছুক্ষণ হট্টগোল চললেও কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষের ভিডিও স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও প্রচার করেছে।
বিএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিএসএফ ভারতীয় কৃষকদের এই ধরনের বিরোধ থেকে দূরে থাকতে বলেছে এবং কোনও সমস্যা হলে বিএসএফকে জানাতে বলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবিও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে এবং পরিস্থিতির অবনতি রোধে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেদের এলাকায় (বিজিবি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার বিএসএফ ও বিজিবি ইউনিট কমান্ড্যান্টরাও নিজেদের মধ্যে আরও ভালো সমন্বয় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভারতীয়রাই প্রথমে বাংলাদেশিদের ওপর চড়াও হয় এবং ওই উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী– বিএসএফ একপ্রকার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে চলমান অস্থিরতার মাঝেই শনিবার ফের চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে দিনভর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একই সীমান্ত ফাঁড়িতেই কয়েকদিন আগে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল।