
দীর্ঘ ১২ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অন্তরীণ রাখা হয়েছিলো ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও এমডি রফিকুল আমিনকে। দীর্ঘ এই সময়ের আবর্ত তাঁদের জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছুই। অবশেষে বুধবার কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন তাঁরা।
প্রিয় প্রতিষ্ঠান বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতি অমোঘ টান তাঁদের যেন টেনে নিয়ে এলো। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই সরাসরি ছুটে আসলেন তাঁরা সেখানেই। এ সময় তাঁর মুক্তির দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থাকা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় তাঁরা কৃতজ্ঞতা জানান ডেসটিনি ও বৈশাখী পরিবারের সদস্যদের।
রফিকুল আমিন বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক মামলা করা হয়েছিলো তাঁর নামে। রিমান্ডে নিয়ে বিগত সরকারের সময় দেশ ছাড়ার শর্ত দিয়েছিলো তাকে। শর্ত না মানায় মুক্তি মেলেনি বলেও দাবি করেন তিনি। এসময় তার আইনজীবী এহসানুল হক সামাজী দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের বর্ণনা দেন।

সদ্য কারামুক্ত ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ডেসটিনি পরিবারের সদস্যরা যেনো বঞ্চিত না হয় সেজন্য তিনি ও এমডি রফিকুল আমিন জেল খেটেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল ক্রিকেটের প্রথম আসরের টাইটেল স্পন্সর ছিলো ডেসটিনি-২০০০। স্বপ্ন দ্রষ্টা রফিকুল আমিনের উৎসাহেই বিপিএলের প্রথম আসরে যুক্ত হয়েছিলো ডেসটিনি। ২০১০ সালে বলিউড সুপার স্টার কিং খান খ্যাত শাহরুখ খান প্রথমবার বাংলাদেশে এসে দর্শকদের জন্য পারফরম্যান্স করেন। সেটার স্বত্ত্ব ছিলো বৈশাখী টেলিভিশন।
রফিকুল আমিনের উৎসাহ-উদ্দীপনাতেই বৈশ্বিক তারকা শাহরুখ খান বাংলাদেশে এসে পারফরম্যান্স করেছিলো। ২০১১ সালে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে বাংলাদেশে আয়োজিত কনসার্টে মঞ্চ মাতিয়েছেন বলিউড তারকা সালমান খান, অক্ষয় কুমার ও ক্যাটরিনা কাইফ। ওই অনুষ্ঠানেরও সহ-আয়োজক ছিলো বৈশাখী টেলিভিশন। যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন রফিকুল আমিন।
১২ বছরে সরকারী কোষাগারে ৪১০ কোটি টাকার রাজস্ব জমা দিয়েছে ডেসটিনি গ্রুপ। বাগেরহাটে দেশের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণকেন্দ্র নির্মাণ করেছিলো ডেসটিনি। এসব কিছুর কেন্দ্রে ছিলেন রফিকুল আমিন।