
ইরানের বিরুদ্ধে সুইডেনে হামলা পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন। গতকাল রোববার (১২ জানুয়ারি) পিপল অ্যান্ড ডিফেন্স কনফারেন্সের প্রথম দিনেই এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টিকে সামনে আনেন তিনি। ক্রিস্টারসন বলেছেন, সুইডেনে সিরিজ হামলা চালানোর জন্য ইরান সংঘবদ্ধ অপরাধী গ্রুপকে ব্যবহার করছে।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘সুইডেনের অভ্যন্তরে গুরুতর হামলা চালানোর জন্য ইরান সংগঠিত ও সহিংস অপরাধী দলকে ব্যবহার করছে। তিনি একে হাইব্রিড হামলা ও প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।`
পিপল অ্যান্ড ডিফেন্স কনফারেন্সের প্রথম দিনে উলফ বলেন, সুইডেন যুদ্ধে নেই কিন্তু শান্তিতেও নেই। তিনি আরও বলেন, প্রকৃত শান্তির জন্য স্বাধীনতা এবং দেশগুলোর মধ্যে গুরুতর কোনো সংঘাতের অনুপস্থিতি দরকার। কিন্তু আমরা এবং আমাদের প্রতিবেশীরা হাইব্রিড আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছি। এসব আক্রমণ রোবট ও সেনাদের মাধ্যমে হয়নি, হয়েছে কম্পিউটার, অর্থ, অপতথ্য ও নাশকতা ঝুঁকির মাধ্যমে।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা শান্তি চায় তাদের অবশ্যই যুদ্ধের প্রস্তুতি থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর সুইডেনের নিরাপত্তা সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরান সরকার অপরাধী চক্রের মাধ্যমে সুইডেনে সহিংস কার্যকলাপ চালিয়েছে। ব্যক্তি, দল, স্টেট এবং বিশেষ করে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে এসব হামলা হয়েছে।
গত বছর সুইডেন পুলিশের একটি সূত্র এবং আরেকটি তথ্যসূত্র ইরান ইন্টারন্যাশনালকে জানায়, স্টকহোম ও কোপেনহেগেনে ইসরায়েলি দূতাবাসে সশস্ত্র হামলা চালানোর জন্য তেহরান অপরাধীদের তালিকা করেছে।
ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে গোলাগুলির ঘটনায় গত বছরের মে মাসে ১৪ এবং ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরকে সুইডেনে আটক করা হয়। সেইসময় সুইডেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি স্বার্থে হামলার করার জন্য অপরাধীদের নিয়োগ দিচ্ছে তেহরান।