
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে জায়গা না পাওয়া লিটন দাসের পাশাপাশি আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের দুই সেঞ্চুরিতে সিলেটে বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীকে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো ঢাকা ক্যাপিটালস।
বিপিএলে প্রথম ছয় ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি ঢাকা ক্যাপিটালস। সেই ঢাকাই আজ এমনভাবে জিতল যে তাতে আরেক নতুন রেকর্ড হয়ে গেল।
রেকর্ড ২৫৪ রান তোলা ঢাকা বোলিংয়ে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে দেয় রাজশাহীকে। জয়ের ব্যবধান ১৪৯ রানের, বিপিএল ইতিহাসে রানের হিসেবে এর চেয়ে বড় জয় নেই। অনেক আগে গড়া রেকর্ড পড়ে গেল অনেক পেছনে – এর আগের রেকর্ডটি যে ছিল ১১৯ রানে জয়ের, সেটিও ২০১৩ সালে গড়েছিল চিটাগং কিংস।
ঢাকা যে জিততে যাচ্ছে, সেটা তো প্রথম ইনিংসেই নিশ্চিত ধরে নেওয়া যাচ্ছিল। রাজশাহী ঠেকানো তো দূরের কথা, ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়তে পারল না। প্রথম ওভারে মোহাম্মদ হারিসের বিদায় দেখা রাজশাহী পরের ওভারে প্যাভিলিয়নের পথে আবিষ্কার করল অধিনায়ক এনামুল হককে। এক ওভার বিরতি দিয়ে আউট সাব্বির হোসেনও (১১)। তখনো রাজশাহীর রান কেবল ১৬।
পঞ্চম ওভারে আউট আকবর আলী, পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার ৩ বল পর ইনিংসের অর্ধেকের শেষ এঁকে দিয়ে বিদায় নিলেন মেহেরব হাসান। স্কোরবোর্ডে রান? ৩৪।
সাতে নামা রায়ান বার্ল এরপর যা লড়েছেন ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে। লড়াই বলতে, ওভার তিনেকের জন্য উইকেটের পতন ঠেকিয়ে রাখা আর কী! দশম ওভারে ইয়াসির (১৭) বিদায় নিলেন দলকে ৬১ রানে রেখে, সোহাগ গাজীরও আগমণ আর প্রত্যাবর্তনের মধ্যে একটা বলই হলো শুধু। রাজশাহীর ১০০ পার হওয়া নিয়ে তখন জোর শঙ্কা।
সেটি রাজশাহী পার করতে পারল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা বার্লের কারণেই। ৩২ বলে ৪৭ রান করেছেন তিনি। তাঁকে শেষদিকে যা কিছু সঙ্গ দিতে পেরেছেন সানজামুল ইসলাম (৯ বলে ১১)।
বিপিএল ইতিহাসে রানের হিসেবে এর চেয়ে বড় জয় নেই। অনেক আগে ২০১৩ সালে ১১৯ রানে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল চিটাগং কিংস।