
ট্যাক্স জিডিপি বাড়ানোর মধ্য দিয়ে দেশকে একটি নির্ভরযোগ্য জায়গায় নিতে চায় সরকার। ট্যাক্সের খরচ যে পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে সে টাকা জনগণের উন্নয়নের ব্যয় হবে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সব কথা বলেন।
শফিকুল আলম জানান, ভ্যাট ও ট্যাক্স বৃদ্ধির ফলে সরকার অজনপ্রিয় হচ্ছে না।
ভ্যাট–ট্যাক্স বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে কিনা জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা মনে করছি তা খুবই মিনিমাম হবে, ম্যাসিভ প্রভাব পড়বে না। এখানে অজনপ্রিয় হওয়ার কোনো প্রশ্নই দেখছি না। বরং সরকার দেশের অর্থনীতির অবস্থা যাতে ঠিক থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখছে। আমি মনে করি, বিষয়টির প্রেক্ষাপট ও কেন করা হয়েছে তা মানুষকে বুঝানো সাংবাদিক ও সবার কর্তব্য।’
আইএমএফের পরামর্শেই এমন সিদ্ধান্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে আইএমএফের ঋণটা মুখ্য না। তারা ক্ষুদ্র অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দেয়, এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আইএমএফ ঋণ দিলে, তাদের সামনে রেখে অন্যরা আসে। এটা বিদেশ থেকে বেসরকারি বিনিয়োগকারী আসতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কারণ তারা বিনিয়োগ করার আগে আইএমএফের প্রতিবেদন দেখে থাকে। ভালো রাজস্ব থাকলে এক্সচেঞ্জ মার্কেট স্থিতিশীল থাকবে। তাতে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে।’
দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করতে সরকারের এমন উদ্যোগ বলেও জানান তিনি। প্রেস সচিব জানান, গত ৫ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।
ভ্যাট–ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পেছনের যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটা না হলে টাকার মান কমে যাবে। এখন ১২৫ টাকায় ডলার কিনছেন, কিন্তু একটা সময় আসবে ১৯০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়াতে হবে। এটা এমন জায়গায় চলে গেছে, তা টেকসই না। ৫ মাসে রাজস্ব শর্টফল হয়েছে ৪২ হাজার কোটি টাকা। খরচতো মেটাতে হবে।’
মূল্যস্ফীতি কমানো ও বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের টানতে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।