
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ছকড়িকান্দিতে মুক্তা পরিবহন নামে এক যাত্রীবাহী বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর-যশোর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—বাধন দাস (২৫) ও প্রান্ত বিশ্বাস (২১)। তারা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। নিহতরা জেলার সদর উপজেলার পৌরসভার শোভারামপুর এলাকার বাসিন্দা।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাস্থলে সেসময় হাইওয়ে পুলিশের চেকপোস্ট চলমান ছিল। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় উত্তেজিত জনতা হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ধাওয়া করে। পরে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
স্থানীয়রা জানায়, হাইওয়ে পুলিশ অবৈধভাবে এখানে চেকপোস্ট বসিয়ে গণহারে গাড়িতে তল্লাশি করছিল। এসময় ওই দুই মোটরসাইকেল আরোহী দ্রুতগতিতে ওই এলাকা অতিক্রম করার সময় আকস্মিকভাবে পুলিশ রাস্তার ওপরে থামানোর নির্দেশ দেয়। দ্রুতগতির কারণে পুলিশকে এড়িয়ে পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। মুক্তা পরিবহন নামের ওই বাসটি মোটরসাইকেলটিকে প্রায় ২০০ মিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।